জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
ঝালকাঠির
রাজাপুর উজেলার ৫নং বড়ইয়া ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন সুরুর
বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা
ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই ইউপি সদস্যদের নাজেহাল
ও হয়রানি শিকার হতে হয় এমন
সব অভিযোগ এনে বুধবার (২৮
সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগের কথা জানান ওই
ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন সুরু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পরিষদে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের জন্য সম্মিলিতভাবে একটি তালিকা করার কথা থাকলেও অভিযোগ রয়েছে সেপ্টেম্বরে চাল বিতরনের জন্য হতদরিদ্রদের তালিকা হালনাগাদের শুরুতেই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন এই জনপ্রতিনিধি। ইউপি সদস্যদের প্রস্থাবিত হতদরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে দলীয় পরিচয় ও ভোটের কর্মী হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে স্বচ্ছল, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এমনকি বিদেশে কর্মরতদের পরিবারের লোকদের নাম অন্তরভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার যে উদ্দেশ্যে কর্মসূচি চালু করেছে তা নস্যাৎ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভূক্তভোগী হতদরিদ্র জামাল মিয়া জানায়, হত দরিদ্রের চালের কার্ড দরিদ্র লোকজন পাওয়ার কথা থাকলেও সাবলম্বীরাও এই কার্ড পেয়েছেন। এরপর আবার এই চাল নিয়ে চলছে লুটপাট। বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এই চাল। দরিদ্রদের অনেকেই এই চাল পাচ্ছেন না। ফলে সরকারের দেয়া এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠি। উজেলার ৫নং বড়ইয়া ইউনিয়নে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে চলছে হরিলুট।
অভিযোগ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন সুরু জানান, আমার বিরুদ্ধে দেয়া সকল অভিযোগই মিথ্যা। পরিষদের অন্যান্য সদস্যগন রয়েছে তাঁদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। এছাড়া সকল ইউপি সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল কাজ সম্পাদন করে থাকি। অভিযোগকারিরা পুরাতন মেম্বর এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এ
বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোক্তার হোসেন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ
পেয়েছি, শীঘ্রই অভিযোগকারি ইউপি সদস্যগন ও
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানে সাথে
অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নেব।