ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলার শিকার ইউএনও

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৯, ২০২২

ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলার শিকার ইউএনও
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে জেলেদের হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নৌপুলিশ সদস্যরা।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরঘাট সংলগ্ন পাইনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। অভিযানে থাকা ইউএনও মো. কামরুল হাসান সোহেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে আমরা এক টিটিম নিয়ে ট্রলারে করে সন্ধ্যায় মাঝিরঘাট সংলগ্ন পাইনপাড়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযানে যাই। এ সময় আমার সঙ্গে ছিলেন কৃষি অফিসার জামাল হোসেন, মৎস্য অফিসার আবুল বাশার, নৌপুলিশের আইসি জহিরুল হকসহ অন্যরা। টিমের আগমন টের পেয়ে জেলেরা অতর্কিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় মৎস্য অফিসের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ১০ জন হামলাকারী জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বড়কান্দি এলাকার ফজলের ছেলে শানোয়ার (২০), বড় নওপাড়া এলাকার দবির আকনের ছেলে রিয়াদ (২২), পাইনপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৪২), করিম মালতের ছেলে আক্কাস মালত (৪০), একই এলাকার মোকলেছের ছেলে মোক্তার মিয়া (২০), আক্কাস মোড়লের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮), বাওদিয়া এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে শাকিল (১৯), ধোলাইপাড় এলাকার কাশেম সরকারের ছেলে মনির হোসেন (২৬), মোহর আলী মাদবরকান্দি এলাকার হান্নান ফকিরের ছেলে সুজাত ফকির (২০) ও একই এলাকার আব্দুল হান্নান ফকিরের ছেলে বাবুল ফকির (৪০)।

ইউএনও আরও বলেন, এ সময় আটকদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ মিটার ইলিশ মাছ ধরার জাল উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়াও জব্দ করা ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।