বর্ণাঢ্য আয়োজন ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এ জশনে জুলুছের আয়োজন করে।
৯ অক্টোবর রোববার সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছ শুরু হয়ে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
একই সাথে জশনে জুলুছ উপলক্ষে সকাল থেকেই মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহকারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ হাজির হন মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে।
জুলুছ শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, পবিত্র আল-কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি ও পার্বত্য কবি ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য দেন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: সামছুল হক।
বিশেষ অতিথী হিসেবে উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খাঁন বক্তব্য দেন।
এছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আনিচ্ছুজ্জামান ডালিম, গাজীনগন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল জলিল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীর বুকে আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:)। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তাঁর সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আমাদের শ্রেষ্ঠ আদর্শ উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, একমাত্র তাঁর আদর্শ অনুসরণ অনুকরণ করার মাধ্যমেই ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো: আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি মো: গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নাজমুল হোসেন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জশনে জুলুছ ও আলোচনা সভা শেষে দেশ-জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।