Can't found in the image content. ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশের বিরুদ্ধে জলাশয়ে লুটপাটের অভিযোগ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশের বিরুদ্ধে জলাশয়ে লুটপাটের অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ৮, ২০২২

ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশের বিরুদ্ধে জলাশয়ে লুটপাটের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর  ইউনিয়নের দেওলা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে জলাশয় থেকে জাল, মাছ লুটপাটকরাসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন কামাল হোসেন।

শুক্রবার (৭অক্টোবর) ১২টার দিকে উপজেলা প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শ্রমিক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির সদস্য কামাল হোসেন।

কামাল হোসেন বলেন, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর মৌজার সেলিমখালীর খাল ও শালকুমড়ার কাড়া নামক ৮একর ১৩শতক জলাশয়টি চলতি বঙ্গাব্দের ৩০চৈত্র পর্যন্ত খাসকালেকশনের মাধ্যমে গত ৮ আগস্ট  ইজারা পাই। বাঁশ, গাছের ডালপালা ফেলে পাহারাদার নিয়োজিত করে মৎস্য সংরক্ষণ করে আসছি। 

নানাবিদ কারণ দেখিয়ে তাঁর খাসকালেকশন নেওয়া জলাশয়টি ২২ আগস্ট বাতিল করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তখন শ্রমিকলীগ নেতা ১৩ সেপ্টেম্বর খাসকালেশনটির বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেন। 

২৭সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায় পেয়ে তিনি পূণরায় দখলে যান। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে তরিকুল ইসলাম পলাশ ৫ অক্টোবর বিকেল চারটার দিকে ২০/২৫ জন লোক নিয়ে সেলিমখালীর খাল ও শালকুমড়ার কাড়া জলাশয়টিতে যান। 

এ সময় তারা জলাশয় পেতে রাখা একটি বড় জাল ও জালের মাছ নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, তারা জলাশয়ে থাকা বাঁশ ও ডালপালা তুলে নিয়ে জলাশয়টির লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন।

কামাল হোসেন বলেন, বৈধভাবে খাসকালেশনে আমার ইজারা নেওয়া জলাশয় থেকে জাল ও মাছ লুটসহ যে ঘটনাটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ ঘটিয়েছেন  ঐ দিনই আমি মুঠোফোনে ইউএনও স্যার ও ওসি স্যারকে  জানিয়েছি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তিনি এই কাজটি করেছেন। এছাড়া তরিকুল ইসলাম পলাশ  উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ৮৫.৮৬.৮৭ ও ৮৮নং ফসলরক্ষা বাঁধের কিছু অংশ কেটে দিয়ে ভিম জাল পেতে লোকজন নিয়োজিত করে অবৈধভাবে মাছ শিকার কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

তরিকুল ইসলাম পলাশ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ধরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সাবেক ইউপি কামাল হোসেন তার জলাশয়ের ঘটনাটি আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তবে তিনি এখনও  লিখিত অভিযোগ করেন নাই। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার কাজে যারাই জড়িত থাকুক না কেন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।