জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
ফরিদপুরে
এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগে জিন্দাত আলী ওরফে পলাশ (৩২)
নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা
করেন। একইসঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত
জিন্দার আলী ওরফে পলাশ বোয়ালমারীর রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের কালাম শেখের ছেলে।
পলাশ কৃষি কাজ করতেন। রায় ঘোষণার সময় পলাশ আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ মে কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্লার মেয়ে কদমী আবু জাফর
সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের শিক্ষাথী রুপালী খানম (২০)। তিনি বাড়ি ফেরার
পথে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। এর পর একই সময়ে কাচি (কাস্তে) দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা
করা হয়।
এই
ঘটনায় নিহতের বাবা বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা
নামে এক নারীকে আটক করে রিমাণ্ডে নেয়। পরে এই মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বাদির
নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে
(ডিবি) দায়িত্ব দেয়। ডিবি ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই শেখ আবু বক্কর
মামলার তদন্তকালে বাদিসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি নেয়। তদন্তকালে আসামি পলাশ শেখকে গ্রেপ্তার
করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পলাশ।
রাষ্ট্র
পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার
আলী ওরফে পলাশ একজন কৃষক। তিনি পড়াশোনা জানতেন না। রুপালি খানম মাদ্রাসায় যাতয়াতের
পথে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। পরে তার বাড়িতে ঘটক পাঠিয়েও প্রস্তাব পাঠায় । কিন্তু
রুপালির পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন পলাশ। এর জেরে তাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে
হত্যা করা হয়।
মামলার
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফৌজদারি কাযবিধির
৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই আদেশে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা
করা হয়েছে।
আসামি
পক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল বলেন, তার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি নির্দোষ
।