ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল কদ্দুছকে সভাপতি পদে দেখতে চায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা

দেওয়ান রানা, মদন, নেত্রকোণা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৬, ২০২২

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল কদ্দুছকে সভাপতি পদে দেখতে চায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মদন উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঘোষণা হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে রেখে ইতিমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। 

উক্ত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল কুদ্দুছকে পুনরায় সভাপতি পদে দেখতে চায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ বলেন, ১৯৬৫ সালে আমি নবম শ্রেণি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতি শুরু করি। ১৯৬৯ সালে কেদ্রীয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি গঠন করে তৎকালীন বাংলা গণমানুষের নেতা অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল রাজনৈতিক মুক্তির দাবি ওটা ৬ দফা বাস্তবায়নে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। ১৯৭০ সালে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ, পিডিপি ও জামায়াত এর বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি।

১৯৭১ সালে ৭ এই মার্চের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হই। জনপ্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছাত্র, যুবক,কৃষক জনতাকে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য  উদ্বুদ্ধ করি। ১৯৭২ সালে মদন উপজেলার জাসদের উত্থানের ফলে মদন থানা ছাত্রলীগের শূন্যতা বিরাজ করে। এমতাবস্তায় আমি আহ্বায়ক হয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মদন থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করি এবং ৮টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মদন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৭৪ সালেও উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৮৩ সালে মদন থানার আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৫ সালে মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হই। ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।

২০১৫ সালে ২০ জুন মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমি সভাপতি পদে নির্বাচিত হই। মদন উপজেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার লক্ষে তৃণমূল কর্মী নেতৃবৃন্দ সহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও মাননীয় সাংসদ রেবেকা মমিনের পরামর্শে নিজেকে সব সময় নিয়জিত রেখেছি। 
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি, খেলাধুলা, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, সাধ্যমত শ্রম ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি এবং বিগত করোনা মহামারীতে আমার নিজ উদ্যোগে সতর্কীকরণ ‘লিপলেট’ ও ‘মাস্ক’ বিতরণ করি। উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ও মাননীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় এলাকায় ২ হাজার প্যাকেট (বিভিন্ন আইটেমে) প্রণোদনা বিতরণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে রাজনীতি করে যাচ্ছি। এই দীর্ঘ  রাজনীতির পথ চল খুব সহজ ছিল না। অনেক বাধা বিপত্ত মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে পথ চলছি। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পদ পদবী পেয়ে/না পেয়েও দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশরত্ন মাননীয় শেখ হাসিনার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি হউক এই মর্মে সংকল্পবদ্ধ।

আমাকে পুনরায় সভাপতি পদে সুযোগ দিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে তৃণমূলসহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মদন উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঢেলে সাজাব ইনশাআল্লাহ।