ইন্দুরকানীতে দূর্গাপূজাকে ঘিরে চারিদিকে এখন আনন্দ উৎসব।
শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে রীতিনীতি মেনে মহাষষ্ঠীতে দেবী দূর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় স্বনাতন ধর্মালম্বীদের সব চাইতে বড়ো উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা।
পূজোর প্যান্ডেলের চতুরদিকে রয়েছে হরেক রকমের সাজ সজ্জা। এবছর উপজেলার
৫টি ইউনিয়নে ২২টি মন্ডপে পূজো হচ্ছে।
এর মধ্যে অধিকাংশ মন্ডপই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি মন্ডপকে এই প্রথম সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোট ৩টি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও এবারের দূর্গাপূজা সম্পুর্ন করতে সম্প্রদায়ীক-সম্প্রতি বজায় রাখতে সকল ধর্মের লোক উপস্থিত থেকে স্বনাতন ধর্মালম্বীদের দূর্গাপূজার কাজ সমাপ্ত করবে।
এর আগে শনিবার সকাল থেকেই ইন্দুরকানী উপজেলার মন্ডপ গুলিতে চলছে পূজা-আর্চনার কাজ। শনিবার রাতে উপজেলার সকল শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপ সরেজমিন পরিদর্শন পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার পি পি এম সেবা মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পি পি এম সেবা থান্দার খায়রুল হাসান ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম, ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মন্ডপের প্রতিনিধিরা।
সার্বজনীন ইন্দুরকানী উপজেলা সদর মডেল কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরের সভাপতি ডাঃ অমল কৃষ্ণ সাহা তালুকদার বলেন আমাদের এই মন্দিরটি ইন্দুরকানী বাজারের ভিতরে থাকায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো তাই আমাদের মন্দির নিয়ে চিন্তায় থাকতে হতো তবে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয় যে আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ মন্দির গুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছে তার জন্য আমরা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে স্যার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, ইন্দুরকানীতে ২২টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৪ টি পূজা মন্ডপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে এর মধ্যে ৩টি পূজা মন্ডপে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে আর বাকি ১ টি পাড়েরহাট বাজারের পূজা মন্ডপে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা বসানো ছিলো। এছাড়া বাকি সবগুলো পূজা মন্ডপ আমাদের নজরদারিতে থাকবে এবং নিরাপত্তার সার্থে পূজা মন্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়নের পাশাপশি আনসার, গ্রাম পুলিশ সহ সেচ্ছাসেবক বাহিনী মোতায়েন থাকবে।