ফরিদপুরের সালথায় কক্সবাজার ভ্রমণে যাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবির অভিযোগে ঠিকাদারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) এবং ছাত্রলীগ কর্মী জসীম মোল্যা (২০)।
এদিকে শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি এমামুল খান ও প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে আনিত চাঁদাবাজির বিষয়টি যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের অপর দুই সহ-সভাপতি ফিরোজ খান রাজ, রনিছ খান মুন্না ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল হাসান।
আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সালথা কলেজ রোড এলাকায় রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন তাসা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই কাজে ব্যবহৃত ট্রলি ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৮-১০ জন তরুণ। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা ট্রলি চালককে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে এবং রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে।
এ ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চঞ্চল গাইন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ওই তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ নয়জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই মামলায় তাঁদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।