ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

আইরিন রুমে না পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টের আত্মহত্যা

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

আইরিন রুমে না পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টের আত্মহত্যা

তারা দুজনেই ঢাকার সাভারের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু এই পরিচয়ের আড়ালে মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। হাতিয়ে নিতেন নগদ অর্থ। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সার্জেন্টকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দুই নারী হচ্ছেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বালিচ গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আইরিন ইয়াসমিন লিজা (৩৪) ও ঢাকার সাভার থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া পলাশবাড়ী গ্রামের ফিরোজের মেয়ে শামীমা আক্তার (২৪)।

 

রোববার রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এদের বিরুদ্ধে মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মজিবুর রহমান রাজশাহীতে প্লট কেনাবেচা এবং প্রাইভেটকার ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মহানগরীর উপশহরের দুই নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দুই নারী শিক্ষকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের কাছ থেকে মৃত মজিবুর রহমানের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশার আড়ালে এ দুই নারী মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে আইরিন জানিয়েছেন, মজিবুর রহমানের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন স্বেচ্ছায় মজিবুরের বাড়ি এসেছিলেন। রাতে তারা মজিবুরের পাশের ঘরে শুয়েছিলেন। তখন মজিবুর রহমান ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আইরিনকে তার ঘরে ডাকেন। আইরিন না গেলে ম্যাসেঞ্জারেই তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর মজিবুর জানান, রাত ৩টার মধ্যে আইরিন না গেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তখন আইরিন ম্যাসেঞ্জার এবং এসএমএসের মাধ্যমে মজিবুর রহমানকে মরতেই বলেন। অভিমানে মজিবুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

 

পরে সকালে আইরিন ও শামীমা তার ঝুলন্ত লাশ দেখে বাড়ি থেকে মজিবুরের মোবাইল ফোন, বাড়ির চাবি এবং নগদ চার লাখ টাকা ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, এ দুই নারী ব্ল্যাকমেইল চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। দুজনকে মজিবুরের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।