ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

সার্জেন্টের মামলায় ক্ষুব্ধ, নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

সার্জেন্টের মামলায় ক্ষুব্ধ, নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক

রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে পুলিশ মামলা দেওয়ার নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে শওকত আলম সোহেল নামে এক ব্যক্তি। আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে টার দিকে ঘটনা ঘটে।

 

নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও অনেকেরে টাইমলাইনে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটর সাইকেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পাশের লোকজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

 

ছাড়া ক্ষুব্ধ একজন ব্যক্তিকে ওই মোটর সাইকেলেই হেলমেট ছুড়ে মারতেও দেখা যায়। আশপাশে থাকা অন্যরা মোটরসাইকেলে পানি দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি তাদের বাধা দেন। কারও কথা না শুনে নিজের গাড়িতে আরো পেট্রোল দিতে থাকেন।

 

জানা গেছে, আগে থেকেই ওই মোটরসাইকেলটিকে একটি মামলা দেওয়া ছিল। কাগজপত্রেসামান্য ত্রুটিথাকায় পুলিশ ফের মামলা দেওয়ায় মনের কষ্টে তিনি এই ঘটনাটি ঘটান।

 

তবে মামলা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গুলশান ট্রাফিক জোনের ডিসি রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তার বাইকের নামে মামলা দেওয়ার জন্য কাগজপত্র নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মামলা দেওয়া হয়নি। তার আগেই তিনি তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

 

তিনি আরও বলেন, বাড্ডার লিংক রোডে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। সেখানে যা চলাচল স্বাভাবিক করতে রাস্তার পাশে রাখা মোটরসাইকেলগুলো সরানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় মামলা দেওয়ার জন্য তাদের কাগজপত্রগুলো নেওয়া হয়।

 

বিষয়ে জানতে বাড্ডা থানা পুলিশের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ওই ব্যক্তি রাজধানীর লিংক রোড এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্য করায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তাকে মামলা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোটর সাইকেলে আগুন লাগান তিনি।

 

বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে একটি মামলা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মোটরসাইকেলটির আগুন নেভায়।

 

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলটি এবং ওই চালককে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে আটকের জন্য আমরা থানায় নিয়ে আসিনি। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি তার ক্ষুব্ধ হওয়ার আসল কারণ।