কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসের আমু এমপি বলেছেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে যথা সময়েই হবে। আর এই নির্বাচনের আগেই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরি করতে হবে। কারন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া এ দেশকে সয়ংসম্পুর্ণ ভাবে বাঁচিয়ে রাখা যাবেনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের আশা পুরণ হয়েছে। দারিদ্রতা দুর হয়েছে, অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার করায় স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ মানুষের আত্মা শান্তি পেয়েছে। একারনেই বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বেঁচে আছে বলেই, পৃথিবীর আকাশে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন হয়েছে, কর্ণফুলীর তলদেশে সড়ক নির্মান হয়েছে, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু নির্মান হয়েছে। মাতৃভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি এনে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবন্নীত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির।
প্রধান আলোচক পনির বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে জড়ো হতে থাকে। প্রধান অতিথি আসার আগেই গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা‘র জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর বাদ জোহর ঝালকাঠির বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে মন্দির গুলোতেও হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা করেছে।