ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

বরিশাল মহানগর আ.লীগ সভাপতির সঙ্গে কাউন্সিলরের কথোপকথন ফাঁস

আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

বরিশাল মহানগর আ.লীগ সভাপতির সঙ্গে কাউন্সিলরের কথোপকথন ফাঁস

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর এবং বরিশাল সিটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের মোবাইল কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। কথোপকথনে কাউন্সিলর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন সভাপতি জাহাঙ্গীরের কাছে। এ সময় সভাপতি নিজেও এমন ঘটনার শিকার বলে জানান।

 

আজ রোববার ৯ মিনিটের এই কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর বিপ্লবকে আমন্ত্রণ জানাতে নগর সভাপতি জাহাঙ্গীর ফোন করলে মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন কাউন্সিলর।

 

কথোপকথনের শুরুতে কাউন্সিলর বলেন, ‘আমরা তো নব্বই (১৯৯০) সালে বিএম কলেজে বোমা মারা প্লেয়ার, মুরব্বিগো সম্মান করা শিখছি। জাহাঙ্গীর ভাই আপনে আমার মুরব্বি। আপনারে সালাম দিমু না তো কারে দিমু। আমরা মুরুব্বি গো লগে কখনো বেয়াদবি করি না।

 

মেয়রের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিপ্লব বলেন, ‘বরিশাল ক্লাব থেকে বের হয়ে যারা বলছে, হাসনাতের (আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ) দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, তাদের নিয়ে মেয়র সাদিক এখন বরিশালে রাজনীতি করে। আমাদের লাগবো কিসে? আমরা সাতাশি (১৯৮৭) সাল থেকে এই সংগঠন করছি, তখন এই সাদিক কই ছিল?’

 

জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের মেরে ফেলবে। মেয়র আমাদের যে অবস্থায় নিয়ে রাখছে তাতে আমাদের মেরে ফেলা ভালো। রাজিব, গ্যাস্টিক বাবু, জিয়ার মত মেসের ছেলেদের নিয়ে মেয়র রাজনীতি করে, এটা মানা যায় না। মেয়রের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নাই।

 

কাউন্সিলর বিপ্লবের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিপ্লব তুমি যে অভিযোগ দিলা, আমি সেই অভিযোগটা দেওয়ার জায়গা পাই না। তোমাদের সাথে যা করে আমার সাথে তা কি করে না?’

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বিপ্লবকে ধৈর্য ধরতে বললে বিপ্লব বলেন, ‘ধৈর্য তো সাড়ে তিন বছর ধরছি, আরও ধৈর্য ধরব? আমরা ধৈর্য ধরব আর গ্যাস্টিক বাবুর মতো লোক সিটি করপোরেশনের গাড়িতে ঘুরবে? মেয়র সাদিক জনগণের প্রতিনিধি, কাউন্সিলররাও জনগণের প্রতিনিধি। অথচ আমাদের মূল্যায়ন করেনি গত সাড়ে তিন বছর।

 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জিয়াউর রহমান বিপ্লব কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার কথা আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে শেয়ার করেছি। যা বলেছি তা শতভাগই সত্য। আমি একটা কথাও মিথ্যা বলিনি। গত সাড়ে ৩ বছরে কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের। এই করোনায় এক ছটাক চাল বা অর্থ কাউন্সিলররা পায়নি।

 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীরকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, সভাপতির কথোপকথন নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে কাউন্সিলর বিপ্লব মেয়রকে নিয়ে যা বলেছেন তা উচিত হয়নি। তাঁর অভিযোগও সঠিক নয়।