ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এখন ছাত্রলীগের সভাপতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এখন ছাত্রলীগের সভাপতি!

সম্প্রতি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখন নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে এক সময়ের ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বিপ্লবকে ছাত্রলীগের সভাপতি করার অভিযোগ ওঠে। নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর বাখন নগর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর থেকে এস এম বিপ্লব আলমঙ্গীর হোসেন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেন। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোস্তফা কামাল, আতিকুর রহমান রোকন, জামাল আহাম্মেদ শামিম আহামেদ প্রচারণা শুরু করেন।

 

সর্বসম্মতি ক্রমে চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর এস এম বিপ্লবকে সভাপতি আলমঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করে রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগ। এর পরই নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ইউনিয়ন বিএনপি কমিটির তৎকালীন তালিকা। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ সালে উত্তর বাখন নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আমিনুল ইসলাম আল আমিন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বিপ্লবের নাম রয়েছে। একই সালে ছাত্রদলের আরও একটি আহ্বায়ক কমিটিতে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বিপ্লবের নাম রয়েছে।

 

উত্তর বাখন নগর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ভূঁইয়া শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভুলুণ্ঠিত করে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদককে ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছেন। তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এস এম বিপ্লব শুধু বিএনপির সঙ্গেই নয় ছাত্র শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে তাকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বানানো হয়েছে।

 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এস এম বিপ্লব দাবি করেন, তিনি ২০১৪ সালে উত্তর বাখন নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে রায়পুরা ছাত্রলীগের কাউন্সিলে তার ইউনিয়নের ৮৩ নম্বর ভোটার ছিলেন। এছাড়া তার বাবা, নানা, চাচাসহ পূর্বপুরুষরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি ছাত্রদলে ছিলেন সে বিষয়ে কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

 

বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যায়নসহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

ছাত্রদলের নেতাকে সভাপতি বানানোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিপ্লব ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমরা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি।

 

সুত্র: জাগো নিউজ