ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ে না করে প্রতারণা করায় ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বিয়ের খবরে তার বাড়িতে অবস্থান নেন তরুণী।

 

ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ার বাবুল ড্রাইভারের ছেলে পুলিশ সদস্য সম্রাটের কয়েক বছর আগে কুষ্টিয়ায় পোস্টিং ছিল। সেখানে চাকরি করার সুবাদে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের কলেজছাত্রী শারমিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে সম্প্রতি তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে। বিয়ের চাপ দিলে সম্রাট নানা টালবাহানা শুরু করেন।

 

উপায় না পেয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ দেন শারমিন। পরে সম্রাটকে বাগেরহাট বদলি করে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও বিয়ের দাবি করে আসছিল শারমিন। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট গিয়ে শারমিন জানতে পারেন শুক্রবার সম্রাটের বিয়ে হচ্ছে। এমন খবরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্রাটের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ায় অবস্থান নেন শারমিন।

 

এদিকে সম্রাটের পরিবার থেকে বলা হচ্ছে শারমিনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্রাটের বাবা বাবলু বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমার ছেলের সঙ্গে যে মেয়েটার সম্পর্ক রয়েছে তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি মেয়েটা। শারমিনের সঙ্গে সম্রাটের কোনো সম্পর্ক নেই বা ছিল না। আমার আমার পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য মেয়েটা মিথ্যাচার করছে।

 

ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেও মেয়েটি এসেছিল। কিন্তু মেয়েটির সঙ্গে পুলিশ সদস্য সম্রাটের সম্পর্কের কোনো প্রমাণ সে দিতে পারেনি। তবে মেয়েটি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতে মেয়েটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।