পরিবহন শ্রমিকদের অন্তর্দ্বন্দ্বে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ঝালকাঠি-বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী বাস।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশালের রূপাতলী বাসটার্মিনালে ঝালকাঠি ও বরিশালের পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে দুপক্ষের ১৫ শ্রমিক আহত হয়। ঘটনার পরে দুপুর সারে ১২টায় ঝালকাঠির শ্রমিকরা গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ফ্রিডমবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই সমিতির লাইন সম্পাদক আবুল হোসেন আদু বলেন 'ঘটনার পর থেকে শ্রমিক নিরাপত্তা জনিত কারণে ঝালকাঠি-বরিশাল রুট বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে চালক ও সুপারভাইজাররা। আমরা শ্রমিক নেতা হিসেবে গাড়ী বন্ধ করার পক্ষে না। কিন্তু ওরা আমাদের কথা শুনবেনা। কারন ওদের আজ নিরাপত্তা নাই।
আহত শ্রমিক মিথিলা পরিবহনের হেলপার শাওন হাওলাদার বলেন, 'বরিশাল টার্মিনালে আমাদের একটা গাড়ী কাদায় আটকে গেছে। পেছন থেকে বরিশাল সমিতির আরেকটা গাড়ি হর্ণ দিচ্ছিলো। তখন আমরা ঐ গাড়ির ষ্টাফকে ধৈর্য্য ধরতে বলি। তারপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি এবং সংঘর্ষ। ওরা (বরিশালের শ্রমিক) আমাদের অনেক মেরেছে।'
ঝালকাঠির শ্রমিকরা এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। দুপুর ২টায় শাহিন নামের বরিশাল শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্য ঝালকাঠি টার্মিনালে আসলে পুলিশের সামনে তাকেও পিটিয়েছে ঝালকাঠির শ্রমিকরা।
এদিকে চরম ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ যাত্রীরা।ঝালকাঠি থেকে বরিশালগামী যাত্রী নিখিল রঞ্জন বলেন, 'মেয়ের শশুরবাড়ি বানরীপাড়া রওনা করেছি। ষ্টানে এসে শুনি বাস বন্ধ, এখন ৪০ টাকা ভাড়ার বদলে দেরশো টাকা ভাড়ায় মোটরসাইকেল ঠিক করেছি। এটা আমাদের প্রতি অবিচার।'
এবিষয় মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। সন্ধ্যার আগেই উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সমাধান করে গাড়ি চলাচলের আশা করছেন তারা।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, 'ঝালকাঠি বাস টার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'