জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্ব-পরিবারকে হত্যা করেছিল। তারাই আবার বীরদর্পে রেডিও টেলিভিশনে
গিয়ে স্ব-ঘোষিত খুনির হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল আমাদের বিচার কে করবে? সে সময় তৎকালীন
মেজর জিয়াউর রহমান এবং তার পত্মী বেগম খালেদা
জিয়া স্ব-ঘোষিত খুনীদর প্রতিষ্ঠিত করতে ইনডিএমিউনিটি (কালো আইন) পাশ করে বিচার কার্য্য
বাঁধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর। দেশের মানুষ এবং আওয়ামীগের
নেতা-কর্মীদের বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি
অকুন্ঠ সমর্থনে বেগম খালেদা জিয়ার আমলেই পার্লামেন্টে তা বাতিল করে হত্যাকারীদের বিচার
দেশের মাটিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শনিবার(২৫সেপ্টেম্বর)
বিকালে ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি
আরোও বলেন স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখনো ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক
না কেন সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কবির ভাষায় তিনি বলেন,ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, দেশবাসী
রয়েছে শেখ হাসিনার সাথে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। তাই
স্বাধীনতা বিরোধীদের গাত্রদাহ দেখা দিয়েছে।
জমকালো
আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৬ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী।
উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি’র
সভাপতিত্বে ও এড. আবদুস ছালামের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন
ইসলামপুরে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সরকারি করণ করা হয়নি বিধায় ইসলামপুর জেজেকেএম গার্লস হাই স্কুল এ- কলেজ সরকারিকরেণ
আশ্বাস প্রদান করেন।
অন্যান্যদের
মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম
এমপি, শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল), আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার
উকিল এমপি, আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, জামালপুর-৫
আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা এমপি হোসনে আরা, জেলা আওয়ামী
লীগের সহ সভাপতি জি.এস.এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সরোয়ার জাহান, সাংগঠনিক
সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন চাঁন।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. জামান আব্দুন নাসের
বাবুল, উপাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাকছুদুর রহমান আনছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর
মেয়র আবদুল কাদের শেখসহ জেলা ও উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
কাউন্সিল
দ্বিতীয় অধিবেশনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামী লীগের
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আগামী ৩ বছরের জন্য পুনরায় আলহাজ ফরিদুল
হক খান দুলাল (এমপি) ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি পদে এবং এড. আবদুস ছালাম কে সাধারণ
সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়।