জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভা,বাগজানা ও বালিঘাটা ইউনিয়নের সংযোগ রাস্তার পার্বতীপুর-সান্তাহার রেল লাইনে ৫টি রেল ক্রসিংটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরজমিনে দেখা যায়,বাগজানা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সংযোগ পথ বা রেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজন ও বিভিন্ন পরিবহন পারাপার হয়। ট্রেন চলাচলের সময় নিরাপত্তার জন্য নেই কোন গেটম্যান।
স্থানীয়রা জানান,দেশ স্বাধীনের পূর্বে এখানে রেলগুমটি ঘরছিল। সেখানে দায়িত্বরত গেটম্যানের নাম খেতনা হওয়ায়,তার নামেই খেতনার গুমটি হিসেবে পরিচিত।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক-হানাদার বাহিনী ঘরটিকে ভেঙ্গে ফেলে।এখন পর্যন্ত কোন রেলগুমটি ঘর সেখানে আর নির্মাণ করা হয়নি।
বালিঘাটা ইউনিয়নের ফেনতারা গ্রামের রেল ক্রসিংটিতে কোন গেটম্যান না থানায় তা আরো ঝুঁকিপূর্ণ। ২০০১ সালে একটি মুরগি বোঝাই পিক-আপ ভ্যানের সাথে ট্রেনের সংঘর্ষে পিক-আপ ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।লক্ষাধিক টাকার মুরগি মারা যায়।
এছাড়াও দরগাপাড়া,রামতনু ও খাসবাগুড়ী এলাকার রেল ক্রসিং সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।কমলমতি শিক্ষার্থীসহ লোকজন ও পরিবহণ চালকদের নিজ দায়িত্বে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রেন আসলে এলাকার লোকজন গবাদিপশু ও ছোট শিশুদের নিয়ে আতঙ্কের ভিতর থাকতে হয়।রেল ক্রসিং স্থানে গেট স্থাপনসহ সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
রেলের পশ্চিমাঞ্চল জোনের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন,আমাদের লোকবল অত্যান্ত সীমিত।ইচ্ছা থাকলেও রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।