কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় জনি (৩৪) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য হবে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জনি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ভাঙ্গাপাড়ার হাফিজুল প্রামানিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাদি মোহন মন্ডল একই গ্রামের ইংরাজ মন্ডলের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশে তামাক ক্ষেতে ঘাস কাটিতেছিল ৭ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। সেই সময় আসামী জনি শিশুটিকে ফুসলাইয়া ও ঘাস কেটে দেওয়ার লোভ-লালসা দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আসামি জনি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সেদিনই তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় জনিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় জনিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে এক লাখ টাকা টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার টাকা ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য হবে।