কামরুল উদ্দিন ইমন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:অর্থবছর শেষ হলেও জেলার সব উপজেলায় বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র (লাইটিং এরেস্টার মেশিন) স্থাপন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কাজ বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সচেতনমহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে (২০২১-২২) হবিগঞ্জ জেলায় বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে বাহুবল উপজেলায় ১৫ লাখ, নবীগঞ্জে ৩০ লাখ, বানিয়াচঙ্গে ৪৫ লাখ, আজমিরিগঞ্জে ৩০ লাখ, হবিগঞ্জ সদরে ১৫ লাখ, লাখাইয়ে ২৫ লাখ, শায়েস্তাগঞ্জে ১০ লাখ, চুনারুঘাটে ১৫ লাখ ও মাধবপুরে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর, লাখাই শায়েস্তাগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় এখনো বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানো হয়নি। আজমিরিগঞ্জ পৌর এলাকাসহ ৬টি স্থানে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। বানিয়াচঙ্গ উপজেলায় ৭টি স্থানের মধ্যে ৪টিতে যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ জানান, ৪টি বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রে আইওটি সুবিধা থাকবে। এর মাধ্যমে ওই যন্ত্র কী পরিমাণ বজ্রপাত রোধ করেছে তা মনিটরিং করা যাবে। সাধারণ বজ্র নিরোধক যন্ত্র ৫ লাখ টাকায় পাওয়া যায়। তবে আইওটিসংবলিত যন্ত্র এর চেয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা বেশি হয়ে থাকে।
নবীগঞ্জে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন বলেন, বর্ষার পানি সরে না যাওযায় এ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতিবছর বজ্রপাতে গড়ে ১৫ জনের মৃত্যু ঘটে। বিশেষ করে হাওর এলাকায় কৃষক ও জেলেরা বজ্রপাতের শিকার হন বেশি। চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসেবে জেলায় ২০২০ সালে ১৫ ও ২০২১ সালে ১২ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন।