কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাজারের খাবার খেয়ে ২৩ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারা হলেন- আকলিমা (২৫), নুরুন্নাহার (৪১), স্বর্না বেগম (২০), কামাল উদ্দিন (৪৫), নওশিন (৩৯), ফাহিম (৬), রোহান (৩), অনিতা বেগম (৪০), আ. রউফ (২), রুপালী বেগম (১৯), সেলিনা বেগম (৩৫), নদী (১৮) রুপক (২), আবদুল্লাহ ( ১৭ মাস) , নাদিয়া বেগম (৪৫), মাফি (২২ মাস), জিনাত বেগম (৪৫), মিতা বেগম (২২), কুলসুম (২৮), খাদিজা বেগম (৪০), তানভির (১৫ মাস), মিম (৩), মুজাহিদ (৩)।
অসুস্থদের সবার বাড়ি ভৈরব উপজেলার আগানগর, ছাগাইয়া ও নবীপুর গ্রামে। ফুড পয়জনিংজনিত (খাদ্য বিষক্রিয়া) কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
অসুস্থ রোগীদের আত্মীয়রা জানান, শনিবার রাতে ভৈরবের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু ঢাকার বিমানবন্দর সংলগ্ন বাউনিয়া মহিউদ্দিন চিশতির মাজারে যান। সেই মাজারে শনিবার রাতে তারা গান-বাজনা শুনে ভোররাতে কয়েকজন খাবার খান। তাদের মধ্য ৩০-৪০ জন মাজারের খাবারের প্যাকেট নিয়ে দুপুরে ভৈরবে চলে আসেন। তারা ভৈরবে বাসায় এসে দুপুরের পর অনেকেই মাজারের প্যাকেটের খাবার খান। খাবার খাওয়ার পর বিকাল থেকে তাদের কারো কারো বমি, পাতলা পায়খানা হতে থাকে। এ অবস্থায় অসুস্থরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চলে আসেন। অসুস্থদের মধ্য শিশুসহ কয়েকজনের অবস্থা ভালো নয় বলে ডাক্তাররা জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ জানান, তারা শনিবার মাজারে গিয়ে সারা রাত কাটিয়ে ভোররাতে মাজারের খাবার ভৈরবে এনে খেয়েছেন। দুপুরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. রওশন আরা নিপা জানান, অসুস্থরা সবাই ফুড পয়জনিংয়ে (খাদ্য বিষক্রিয়া) আক্রান্ত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ২৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। এখনো রোগী আসছে। তাদের মধ্য শিশুসহ ৫-৭ জনের অবস্থা ভালো নয়। তারা বমি করছে, আবার অনেকে পেটের পীড়ায় ভুগছেন। হাসপাতালে আসা সবার চিকিৎসা চলছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রতিনিধি |
আপডেট:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ 
