হবিগঞ্জের মাধবপুরের চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শিকারীদের একটি চক্র পটাশ বিষটোপ দিয়ে গণহারে দেশি পাখি, অতিথি ও গৃহপালিত পাখিসহ সাপ, ব্যাঙ হত্যা করছে।
জানা যায়, এরা মাছ বা ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে পাখিকে দুর্বল করে ধরে পরে বিভিন্ন হোটেল ও ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে।স্থানীয় ভুক্তভোগী ফিরোজ মিয়া সর্দার জানায়,'শিকারীদের প্রয়োগ করা বিষে বন্য পাখিসহ আমার ৩ মুরগী,আমার ভাতিজার ৩ মুরগী মারা গেছে।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী ইউপির মধ্য কমলপুর গ্রামের কুদরত আলীর পুত্র কিতমত মিয়া ,ইদন মিয়ার পুত্র ইকবাল মিয়া সিরাজ মিয়ার পুত্র জহির,সিরাজ মিয়ার পুত্র ফারুক, এনু মিয়ার পুত্র সজল মিয়া,বেনু মিয়ার পুত্র পাবেল, পাবেল মিয়ার পুত্র রায়হান এবং প্বার্শবর্তী গ্রাম রামনগরের ম আব্দুল হামিদ মোহন মিয়া ও সুমন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকার ও বিষটোপ দিয়ে পাখি ও গৃহপালিত প্রাণী নিধন করছে।
স্থানীয় কাশিমনগর পুলিশ ফাড়ির এসআই ও চৌমুহনী ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, পাখি ও প্রাণী শিকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমাদের লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেব। তবে এসব বিষয়ে নিউজ করার আসলে কিছু নাই।
হবিগঞ্জের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম জানান,আমাদের সীমাবদ্ধ ফান্ড নিয়ে বন্যপ্রানী অপরাধ দমনের চেষ্টা করছি। বিষয়টি আমাদের কানেও এসেছে। দুএকদিনের মধ্যেই আমরা সেখানে অপারেশনে যাবো।
পাখি প্রেমিক সোসাইটি সভাপতি মুজাহিদ মসি জানায়, এত অভিযান ও কাউন্সিলিং করার পরেও যদি আমার গ্রামেরই পাখি শিকারীচক্র এত দুঃসাহস দেখায় তবে আমি তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।