নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
বিয়ের
দিনই ধর্ষণের শিকার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। ঘটনার কথা জানতে পেরে
বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ।
ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এহেন
ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে দিয়েছে।
এই
ঘৃণ্য ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিনাজপুরের
পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে। মেয়েটি ওই এলাকায় একটি
মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, ঘটনার দিন সবাই বিয়ের
আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
এহেন অবস্থায় আবদুর রহমান (৪৬) রান্না করে
দেওয়ার জন্য বিয়ের পাত্রীকে
বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেই
সময়ে বাড়িতে ছিল না আবদুর
রহমানের স্ত্রী। স্ত্রী না থাকায় ধর্ষণ
করা হয় মাদ্রাসার ছাত্রীকে।
পরে ছাত্রীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এলে পালিয়ে
যায় অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার
পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনার দিন
ওই এলাকায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য এক সালিশি
সভা ডাকা হয়। বৈঠকে
অভিযুক্ত আবদুর রহমানকে দুই লক্ষ পাঁচ
হাজার টাকা জরিমানা করেন
সালিশি সভার মুরব্বিরা। জরিমানার
বিষয়টি শুনে সেখানেই জ্ঞান
হারান ওই ব্যক্তি। ফলে
তাঁকে রাতেই পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভরতি করা হয়।
রবিবার
ওই ছাত্রীর মা পার্বতীপুর মডেল
থানায় অভিযুক্ত আবদুর রহমানকে আসামি করে নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি
মামলা করেন। পুলিশ আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে
দিনাজপুর কারাগারে পাঠায়। মেয়েটিকে রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম
আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে পাঠানো হয়।