হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক গৃহবধূ ভাতিজাদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জারুলিয়া গজারীপাড় গ্রামে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আক্তার মিয়ার সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে তার সৎ ভাই গাবরু মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।
সম্প্রতি আক্তার মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার পলি (৩০) একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সৎ ভাসুরের ছেলে মাসুক ও মামুন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাসুক, মামুন, তাদের বোন শেফা ও বোন জামাই শামীম পলির ঘরে যায়। তারা মামলা করার কারণ নিয়ে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে পলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। পরে গুরুতর আহত পলিকে বাড়ির উঠানে নিয়ে আসে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এক পর্যায়ে পলির গলায় ধারলো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে পালিয়ে যায়।
মায়ের ওপর এমন নৃশংসতা দেখে পলির সন্তান শহীদ খাটের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেয়। শ্বাশুড়ি মালেকা বানু ভয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান জানান, আক্তার মিয়া ও পলি এক সময় টেইলারিং পেশায় ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় তিন বছর আগে আক্তার মিয়া পলিকে বিয়ে করেন। পলির আগের ঘরের সন্তান শহীদ।
খুনের খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত পলির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে। এখনও মামলা হয়নি।