নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
তৃতীয়বারের
মতো ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইয়ার আলি। সাতক্ষীরার
কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের ওই জনপ্রতিনিধি এবার
তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোজাফফর রহমানকে ১০৪ ভোটে হারিয়েছেন।
তবে নির্বাচনে জেতার পর তিনি জনসমক্ষে
হাজির হলেন আরেক ইয়ার
আলি হিসাবে। গলায় ফুলের মালা
ছাড়াও তিনি সিক্ত হলেন
টাকার মালায়।
এ
বিষয়ে ইয়ার আলি বলেন,
গ্রামবাসী ভালোবেসে তার গলায় টাকার
মালা পরিয়ে দিয়েছে। এতে অসুবিধা কোথায়।
একজন
সাইকেল মিস্ত্রি থেকে তিনবারের জয়ী
বহুল আলোচিত ইয়ার আলির বিরুদ্ধে
রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যে গ্রামে বসবাস
করেন তিনি; সীমান্তবর্তী সেই গ্রামের নাম
গাড়াখালি। এর নিকটেই প্রবাহিত
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা
নির্ধারণকারী নদী সোনাই। ছোট্ট
এই নদী পার হলেই
ওপারে ভারতীয় সীমান্ত। পশ্চিম বাংলার ২৪ পরগনা জেলার
বিথারী গ্রামে জন্ম ইয়ার আলির।
গত
২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কেড়াগাছি ইউনিয়নে ইয়ার আলি, মনসুর
ও তার ছেলে শাহঙ্গীর
রাতে কেড়াগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ঢুকে
ব্যালট কেড়ে নিয়ে সিল
মেরে রেখে আসে বলে
অভিযোগ ওঠে। এ কারণে
এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত
করে রেখেছে প্রশাসন। তবে ইয়ার আলি
অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, ওই
কেন্দ্রটি আমার নয়। তাই
আমি কেনো যাবো সেখানে।
স্থানীয়রা
জানান, ইয়ার আলি ভারত
থেকে বাংলাদেশে চলে আসার পর
সাইকেল মিস্ত্রির কাজ করতেন। সীমান্তে
বাড়ি করেন গাড়াখালি গ্রামে।
এখন সে এ এক
আলিশান বাড়ি।
তিনি
কখনও বিএনপি কখনও আওয়ামী লীগ
করেছেন। কেড়াগাছিতে সবুজ সংঘ নামের
একটি ক্লাব আছে। এখন তিনি
ভোল পাল্টে হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইয়ার
আলি এবার আবারও নির্বাচনে
জিতে টাকার মালা নিয়ে ফেসবুকে
এসে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
এ
বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়ার আলি যুগান্তরকে
বলেন, আমার নামে কোনো
থানায় কোনোদিন মামলা অথবা জিডিও হয়নি।
আমাকে কিছু লোক বারবারই
চোরাচালানী বলে প্রচার দিয়ে
থাকে।
প্রশ্ন
রেখে তিনি বলেন, তারা
কি দেখাতে পারবেন আমি চোরাচালানের সময়
মালামালসহ কোথাও ধরা পড়েছি। অথবা
চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো মামলা আমার
বিরুদ্ধে হয়েছে। এসব হচ্ছে আমার
এলাকার কিছু রাজনৈতিক লোকের
অপপ্রচার। তারা স্বার্থসিদ্ধির জন্য
এমন কথা বলে থাকেন।
আমি চোরাকারবারি নই। কোনো প্রমাণও
নেই।
জানতে
চাইলে কলারোয়া থানার ওসি মীর খায়রুল
কবির বলেন, ইয়ার আলির বিরুদ্ধে
থানায় কোনো ওয়ারেন্ট নেই।
তাছাড়া কোনো মামলা আছে
কি নেই সেটি খুঁজে
দেখতে কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।