Can't found in the image content. আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহহীনের ঘর ভাড়া নিয়ে ব্র্যাক স্কুল! | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহহীনের ঘর ভাড়া নিয়ে ব্র্যাক স্কুল!

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহহীনের ঘর ভাড়া নিয়ে ব্র্যাক স্কুল!
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণের অংশ হিসেবে নির্মিত একটি ঘরকে ভাড়া নিয়ে ব্র্যাক স্কুল হিসেবে পরিচালনা করছেন উর্মি পাল নামের ব্র্যাকের শিক্ষা প্রোগ্রামের এক সুপারভাইজার।

আর যার থাকার জন্য এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছেন সরকার তিনি নিজের পুরনো ঘরে অবস্থান করে সরকারি ঘরটি ভাড়া দিয়ে ৮শত টাকা মাস আদায় করছেন।

দীঘলবাগ গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলীর পুত্র মোঃ আইয়ুব আলী নামের কথিত গৃহহীন ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কথা হয় তার আপন ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককাউসার এর সাথে।

তার ভাইয়ের নিজের একটি ঘর থাকা সত্ত্বেও গৃহহীন হিসাবে আরেকটি ঘর কেন সরকারের কাছ থেকে নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান তার ভাইয়ের ঘরটি জরাজীর্ণ। তিনিসহ তার অন্য ভাইয়েরা পাকা দালানে বসবাস করছেন অথচ ভাইয়ের জরাজীর্ণ ঘর দেখিয়ে সরকারি ঘর নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব যাদের দেখার কথা তারা দেখবে।

তবে তিনি জানান, ঘরটি ভাড়া দেয়া হলেও কয়েকদিন আগে ভাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একটি সূত্রে জানা যায়, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে এই ঘরটি তার ভাইকে এনে দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এক লক্ষ টাকা ব্যায়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন ৫ নং গোপায়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর দীঘলবাক গ্রামে এ ঘরটি নির্মাণ করে দেন। আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং নিজেদের ঘরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে আইয়ুব আলী নামের ওই ব্যক্তি গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ওই ঘরটি ভাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ঘরটি উর্মি পাল নামের ব্র্যাকের শিক্ষা প্রোগ্রামের সুপারভাইজারের মাধ্যমে ব্র্যাকের নিকট ভাড়া দিয়ে আসছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে উর্মি পাল নামের ওই ব্রাক শিক্ষা প্রোগ্রামের সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘরটিকে ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

এটি সরকারি ঘর কিনা জানতেন না বলে দাবি করেন। ঘরের সম্মুখে সরকারি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে বলে তাকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে ঘরের মালিক দায়ী বলে জানান।

তবে এ প্রতিনিধি যোগাযোগ করার পরপরই তড়িঘড়ি করে ব্র্যাকের সাইনবোর্ড টি ওই ঘর থেকে তিনি খুলে নিয়ে যান বলে তথ্য পাওয়া যায়।

ব্র্যাকের হবিগঞ্জ জেলা কর্ডিনেটর আতাউর রহমানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।