জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
ঝালকাঠিরর
গাভারাম চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুপাতো ভাগ্নি দুই সন্তানের জননীর সাথে ‘দুনাম্বারী কামে
গিয়ে’ ২নং বেরমহল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক জহিরুল হাওলাদার
(৪০) স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে গনধোলাইয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার
দিবাগত গভীর রাতে (রাত ১টার দিকে) স্থানীয় জনতা ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল কে গনধোলাই দিয়ে
আটকে রাখার খবরে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে ‘বিচার করার আশ্বাস
দিয়ে শান্ত করে’ তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন
জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে।
বালিগোনা
গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক যুবক ও দুই সাবেক মেম্বার জানায়, স্ত্রী পরিত্যাক্তা এক
সন্তানের জনক নবনির্বাচিত ২নং বেরমহল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এনামুলের সাথে দীর্গ
দিন ধরে তার আপন ফুপাতো বোনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী লিপি বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক চলে
আসছে।স্বামী ঢাকার কর্মস্থলে থাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে লিপি বেগম একা বসবাসের সুযোগে
গত বুধবার রাত সাড়ে ১টায় ইউপি সদস্য এনামুল তার ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা টের পায়।
এসময়
আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ঘরের চারপাশ ঘেরাও করে দড়জায় নক করে খুলতে বললে বেকায়দায় পড়ে
ইউপি সদস্য এনামুল। দৌড়ে পেছনের দরজা খুলে পালাতে গেলে টিনের সাথে কপালে আঘাত লেগে
কাটা জখম হয় তার। সেই অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে ঝাপটে ধড়ে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটকে রাখলেও
চেয়ারম্যান তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে
২নং বেরমহল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক জহিরুল হাওলাদার সাংবাদিকদের জানায়,
তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আসলে তিনি বুধবার সারা দিন ঝালকাঠি শহরে কাজ
সেরে রাতে বাড়ী ফেরার পথে বালিগোনা এলাকায় এসে তার মটোরসাইকেলের তেল ফুড়িয়ে যায়। এ
অবস্থায় তিনি মটোরসাইকেলটি ঠেলে নিয়ে যাওয়ার পথে উক্ত বাড়ীতে প্রবেশ করেন। তখন কতিপয়
লোক তাকে আটকে ফেলে। পরে চেয়ারম্যানকে ফোন করলে তিনি এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।