নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
‘চট্টগ্রাম
মহানগরের ফুসফুস খ্যাত শতবছরের বৃক্ষরাজি সজ্জিত সিআরবিতে হাসপাতাল নয়’
এই স্লোগানে আন্দোলনে নেমেছে নগরীর সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার
(২৪ সেপ্টেম্বর) সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজের সমাবেশে বক্তারা এসব
কথা বলেন।
তারা
বলেন, প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর চট্টগ্রামের ফুসফুস ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে মুক্তিযোদ্ধা,
ছাত্র, শ্রমিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রামে
সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র এই সিআরবি। সিআরবি যদি দখল হয়ে যায়, তবে সংস্কৃতিচর্চার
ঐতিহ্যবাহী স্থানটি হারিয়ে যাবে। যা কোনোভাবেই চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ হতে দেবে
না।
সিআরবিতে
হাসপাতালের নামে অত্যন্ত গোপনীয় কায়দায় ৬০০ শতক রেলভূমি গোপন ইজারার মাধ্যমে ধ্বংস
করার আয়োজন চলছে। রেলওয়ে হাসপাতালটিকে নন হেরিটেজ এলাকা দেখিয়ে রেলের জায়গা হাতিয়ে
নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানান বক্তারা।
প্রণব
চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও দক্ষিণ জেলা আত্তয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে
সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের কো চেয়্যারম্যান ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম,
সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নগর আত্তয়ামী
লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, প্রকৌশলী হারুন, ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনিস্টিউশনের চেয়্যারম্যান প্রবীর সেন, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চিকিৎসকদের
সংগঠন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. চন্দন দাশ;
চট্টগ্রাম
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন রাসেল, অধ্যাপক ওমর
ফারুখ রাসেল, নারীনেত্রী জেসমিন আক্তার পারু, লায়লা আক্তার এটলী, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত
মো. বেলাল, যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, শ্রমিকনেতা গাজী জসীম উদ্দীন, নগর ছাত্রলীগের
সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি প্রমুখ।
এছাড়া
উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক সমাজের কো চেয়্যারম্যান মোহাম্মদ ইউনুচ, বীর
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হোসাইন কবির,
একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, শিক্ষক নেতা বশীর উদ্দীন কনক, শ্রমিকনেতা
আব্দুল আহাদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাজাহান চৌধুরী, আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান, স্বপন মজুমদার,
আত্তয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা জসীম উদ্দীন বাবুল, ন্যাপ নেতা
বাপন দাশগুপ্ত;
বোধন
আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হালিম দোভাষ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
মো. ইলিয়াস, খেলাঘরের মোরশেদ আলম চৌধুরী, লায়ন মো. আরকে জাহেদ চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী
লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, ফারজানা আক্তার জেনিফার, যুবলীগ নেতা মোরশেদ আলম, শ্রমিক
নেতা তোফাজ্জল হোসেন জিকু, ছাত্রনেতা মো. হৃদয়;
ছাত্রনেতা
মাহমুদুল করিম, আনোয়ার পলাশ, মাইমুন উদ্দীন মামুন, মুশতাক আহমদ, হুমায়ুন কবির মাসুদ,
ডা. আরকে দাশ রুবেল, দিলরুবা খানম, কবি মিনু মিত্র, আরফাতুর রহমান ঝিনুক, শায়লা আবেদীন
রিমা, তাপস দে, টিটু দও, নারায়ণ দাশ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মোহাম্মদ সাকিব, এমইউ সোহেল
প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে
গীতিনাট্য ইতিহাস কথা কও পরিবেশন করেন উদীচী চট্টগ্রাম সংসদ।