চুনারুঘাটে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ও তার বন্ধুর দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় নিরূপায় হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানার ওসিকে ৭ দিনের মধ্যে রুজু করার জন্য নির্দেশ দেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার তাজপুর গ্রামের ওই তরুণী বাদি হয়ে মামলা করেন। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সাবেক স্পেশাল পিপি এডভোকেট আবুল মনসুর ও এপিপি মো. আতাউর রহমান। আসামিরা হল- বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া (৩০), চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কিরতাই গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের পুত্র আরিফ মিয়াসহ আরও দুইজন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি সোহাগ মিয়া ওই তরুণীর স্বামী ছিলো। তার নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে তাকে তালাক দেয়। এরপর থেকেই সোহাগ তার পিছু ছাড়েনি। প্রায়ই তাকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো। গত ৩১ আগষ্ট বিকেলে সে বাড়ি থেকে শ্রীমঙ্গল মামার বাড়ি যাবার জন্য রওয়ানা হয়। চুনারুঘাটের নতুন ব্রিজ পৌঁছামাত্র সোহাগসহ কয়েকজন তাকে কৌশলে নামিয়ে অন্য সিএনজিতে করে তার বন্ধু আরিফের বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাঁতা-পা বেধে রাতভর গণধর্ষণ করে। সকালে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে নতুন ব্রিজ ফেলে রেখে যায়। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে তিনি ৪/৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।
চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোর্ট থেকে এখনও কাগজ পাইনি। ফেলেই মামলা রুজু করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।