ফরিদপুরে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই হামলায় আহত ছাত্রলীগকর্মী ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এ বি এম ফয়সাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
উক্ত মামলায় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তামীম আফনানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় পুলিশ রোববার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান মিজান, শেখ তামীম আফনান, মাহামুদুল হাসান সাব্বির ও মোস্তাফিজুর রহমান আওরঙ্গকে গ্রেফতার করে। পরে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজের রুকসু ভবনে জেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রুকসু ভবনে ঢোকেন। তারা সেখানে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কয়েকজনকে পেটাতে থাকেন। হামলায় মারাত্মক আহত হন বাপ্পী ও ফয়সাল নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী। এছাড়া আরও ছয়জন হামলায় আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের মোবাইলে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এটা একটা তুচ্ছ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। নিজেদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়, যা পরবর্তীকালে মীমাংসার উদ্যোগও নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। চার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।