নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
প্রায়
এক হাজার ১০০ কোটি টাকা
প্রতারণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা। বিক্ষুব্ধরা স্লোগান দিচ্ছেন- ‘মাশরাফির আস্থায়, আমরা সবাই রাস্তায়’। এছাড়াও বাণিজ্য
মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের
বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলছেন তারা। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল
সাড়ে ৩টায় মিরপুর-১
নম্বরে কিংবদন্তি ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু
হয়েছে।
বিতর্কিত
অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
ই-অরেঞ্জের শুভেচ্ছা দূত ছিলেন মাশরাফি।
প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ
হয়ে গেছে। তবে এরইমধ্যে ২০০৭
সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির
বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় এক হাজার ১০০
কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ
ওঠে। ই-অরেঞ্জের সঙ্গে
চুক্তি শেষ হলেও প্রতিষ্ঠানটির
বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর তিনি
গ্রাহকদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
ই-অরেঞ্জের এ গ্রাহক বলেন,
টাকা ফেরতে সরকারের কোনো সদিচ্ছা আমরা
দেখতে পাচ্ছি না। আমরা ডিজটাল
গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা দিয়েছি ই-অরেঞ্জে। কিন্তু এখন সরকার বলছে,
গ্রাহকের টাকার কোনো সঠিক হিসাব
নেই। কেন নেই, এর
কোনো জবাব আমরা পাইনি।
এছাড়াও
ই-কমার্স এসোসিয়েশন ই-ক্যাবের কার্যক্রম
নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন,
তাদেন কাজ কী? যখন
প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেন তখন কেন
সবকিছু দেখা হয় না,যখনই প্রতারনার কথা
উঠে তখনই সেসব প্রতিষ্ঠানের
লাইসেন্স স্থগিত করা হয় কেন!
জানতে চান ভক্তরা।
তিনি
আরও বলেন, পুলিশি হামলা চালিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
আমাদের শ্রমের অর্থ ই-অরেঞ্জে
আটকে আছে। টাকা ফেরত
না আসা পর্যন্ত আমরা
প্রতিবাদ করবো। ওসি সোহেলসহ ই-অরেঞ্জের মালিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের
পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিতে
হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কাছে প্রশ্ন রেখে এ গ্রাহক
আরও বলেন, আপনাদের অনুমোদিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের
কাছে টাকা দিয়ে প্রতারিত
হয়েছি। এর প্রতিবাদ করতে
রাস্তায় এসে কেন হামলার
শিকার হলাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি এর দায়
না নেয়, ই-ক্যাব
যদি এর দায় না
নেয়, তবে কে নেবে?
এর
আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লগ্নি করা টাকা ফেরত
পাওয়া ও ই-অরেঞ্জের
মালিক ওসি সোহেলকে দেশে
ফিরিয়ে আনার দাবিতে বাণিজ্য
মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে মৎস্য
ভবনের সামনে গ্রাহকদের ওপর লাঠিচার্জ করে
পুলিশ। এতে অন্তত ১০
জন ভুক্তভোগী আহত হন। এসময়
তিনজনকে আটক করা হয়।
সন্ধ্যায় আটকদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়
শাহবাগ থানা পুলিশ।