চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ'র পরিদর্শক সাইফুল্লাহ বাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমাবার দুপুরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর কপোতাক্ষ শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ।
সাইফুল্লাহ বাহার মানিকঞ্জ জেলার সিঙ্গারই উপজেলার পূর্বভাকুৃম গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, তিনি জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে বাস করতেন। সোমবার তিনি অফিসে না গেলে এবং তাকে ফোনে না পেয়ে ডাকবাংলোতে খোঁজ নেয়া হয়। এসময় জানালা দিয়ে তার মরদেহ দেখা যায়। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। বিআরটিএ ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর দিলে পলিশ রুমের দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধর করে।
বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী জানান, গতকাল রোববার অফিস চলাকালীন সময় সাইফুল্লাহ বাহার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনেও পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ও বিআরটি এ তিনি আরো বলেন, কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
এ সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তেন রিপোর্টের পরই জানা যাবে।