দিনাজপুরে ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মিনহাজুল ইসলাম মিনার (১৬) নামে এক বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। তার মৃত্যুর চার দিন পার হলেও পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেনি বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
এর আগে বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে ৩১৪/এক পিলারের উত্তরে বিএসএফের গুলিতে ওই স্কুলছাত্র মারা যায়।
নিহত মিনহাজুল ইসলাম মিনার সদর উপজেলার খানপুর ভিতরপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে ও খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
মিনারের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বিজিবির দাইনুর বিওপিতে ছেলের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন মিনারুলে বাবা। বিজিবির কাছে পাঠানো বিএসএফের ছবি ও তথ্যের সঙ্গে মিনারুলের দেওয়া সবকিছুর মিল পেয়েছেন তারা। তবে লাশ কখন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি বিজিবি।
এদিকে মিনহাজুল ইসলাম মিনারকে কাজ দেওয়ার কথা বলে চোরাচালানের পণ্য আনার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে শনিবার সকালে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন তার মা মিনারা বেগম। এই পাঁচজন হলেন- উপজেলার খানপুর গ্রামের সালমান শাহর ছেলে সাগর হোসেন (২২), আতাবুল ইসলামের ছেলে এন্তাজুল হক (৩৪), মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫), একই গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে ফাতাউর রহমান (৩৮) এবং খানপুর ফকিরপাড়া এলাকার হুসেন আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৩০)।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা বলেন, নিহত মিনারের মা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। লাশ গ্রহণ ও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।