ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

জাল নোট সরবরাহকারী বিউটি জেলহাজতে

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

জাল নোট সরবরাহকারী বিউটি জেলহাজতে
ঝালকাঠির রাজাপুরে জাল টাকা দিয়ে ধার শোধ করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বিউটি মিস্ত্রি নামে এক নারী। বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর সকালে সূর্বনা হালদার নামের আরেক নারীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত বিউটিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার ৬ সেপাটেম্বর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি গ্রামের বিউটি মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগ তুলেছে একই এলাকার সুবর্ণা হালদার। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরা হলো বিউটি মিস্ত্রী, বিপুল হালদার, বিপ্লব হালদার, সুবর্ণা হালদার এবং সাইফুল খান।

নৈকাঠির ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণা হালদার বলেন,  'আমার কাছ থেকে গত পাঁচ মাস পূর্বে একই এলাকার জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী বিউটি ১৭ হাজার টাকা ধার নেয়। গত ১৫ দিন আগে বিউটি ঐ টাকা পরিশোধ করে আমার কাছ থেকে আরো ৫ হাজার পুরাতন টাকার নোট পরিবর্তন করে নতুন টাকা নেয়।

সোমবার ঐ টাকা থেকে আমি একটি পাঁচশত টাকার নোট নিয়ে দোকানে গেলে দোকানদার আমাকে জানায় এটি জাল টাকা। তখন আমি বাড়ি গিয়ে আমার কাছে থাকা একুশ হাজার পাঁচশত টাকা যাচাই করে দেখি সবই জাল নোট। সাথে সাথে আমি বিষয়টি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিউটি মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায়, ঐ টাকা গুলো পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।

রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কাউখালী শাখার ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদার জানান, নগদ নয়, আমরা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকি।

এর আগেও ইসলামি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার ব্যবহার করেছিল বলেও বিউটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিলো বলে স্থানীয়রা জানায়।

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তফা জানান, দুজনকেই থানা হেফাজতে রেখে প্রাথমিক তদন্তের পর সূর্বনা হালদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর সূর্বনা হালদার বাদী হয়ে বিউটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে ঐ মামলায় বিউটিকে গ্রেফতার দেখিয়ে  আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। একই সাথে মামলার আলামত হিসেবে জাল টাকার নোটগুলো জব্দ করা হয়েছে।