টাকা দিলে বৈধ,না দিলে অবৈধ! থানার ওসিকে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮৫ হাজার টাকা প্রতিমাসে গুনতে হতো মাসোয়ারা, এখন দেড় লাখ টাকা দাবি করলে আমরা দিতে অস্বীকার করায় ট্রলি গাড়ি বন্ধ করে দিলেন ওসি। মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় আলফাডাঙ্গা পৌরবাজার চৌরাস্তায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বালু ব্যবসায়ী নেতারা এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। বালু ব্যবসায়ী মো. দাউদ হোসেন, শামিম হোসেন, আনোয়ার মিয়া মানববন্ধনে বক্তব্যে বলেন, আলফাডাঙ্গা থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামানকে মাসোয়ারা টাকা না দেওয়ায় উপজেলার সকল বালুর চাতাল ও বালু নেওয়া ট্রলি গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বিপাকে পড়েছে বালু ব্যবসায়ী ও ট্রলি গাড়ির শ্রমিক ও মালিকরা।
২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮৫ হাজার টাকা প্রতিমাসে মাসোয়ারা দিয়েছি ওসিকে। এখন ওসি প্রতিমাসে দেড়লক্ষ টাকা দাবী করেছে। এতো টাকা আমরা দিবো কেথাথেকে। টাকা দিলে বৈধ,না দিলে অবৈধ ! এ ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট ইউএনও রফিকুল হক বিনা নোটিশে ট্রলি গাড়ীতে বালু ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত ভেকু ভেঙ্গে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নেতা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বালু ব্যবসায়ীরা। সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা ট্রলি চলাচল ও বালু সরবাহরের অনুমতি চেয়ে জোরদাবী জানান প্রশাসনের নিকট। মানববন্ধনে কোন প্রতিকার না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দিবেন বলে হুশিয়ার দেন ব্যবসায়ীরা।
জানতে চাইলে ওসি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি ট্রলি ও বালু ব্যবসায়ীদের নিকট হতে কোন টাকা নেই নাই। ট্রলি গাড়ী চলাচল বন্ধ ব্যাপারে উপজেলা আইনশৃঙখলা সভায় সিন্ধান্ত হয়েছে। এসপি ও ইউএনও স্যারের নির্দেশ মতে টলি গাড়ি বন্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বলেন, ট্রলি গাড়ীতে বালু ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত ভেকু ভাঙা অভিযোগটি সত্য নয়, তবে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলণ করার দায়ে অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।