ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

হবিগঞ্জে অব্যবহৃত থেকে গেল ২১টি গণমিলনায়তন কেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

হবিগঞ্জে অব্যবহৃত থেকে গেল ২১টি গণমিলনায়তন কেন্দ্র
দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় হবিগঞ্জে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২১টি গণমিলনায়তন কেন্দ্র প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তদারকির অভাবে সরকারের এই সম্পত্তিগুলো প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে।

এদিকে স্থাপনাগুলো বেহাত হয়ে গেলেও এগুলোকে সংরক্ষণ অথবা ব্যবহার উপযোগী করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৪-৮৫ সালে হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ২১টি গণমিলনায়তন কেন্দ্রের আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে সরকার। এর মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি এবং মাধবপুর ও লাখাই উপজেলায় তিনটি করে ছয়টি।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।
 
লাখাই উপজেলায় তিনটি গণমিলনায়তন কেন্দ্রের অবস্থান মুড়িয়াউক ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে, মোড়াকরি ইউনিয়নের হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নিকটে ও বুল্লা ইউনিয়নের মাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে।
 
এ তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। চুরি হয়ে গেছে চালের টিন, দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল। আশপাশের প্রভাবশালী লোকজন এগুলোতে নিজেদের কৃষিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত মালামাল রেখে দখল করে রেখেছেন।
 
একইভাবে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৫টি এবং মাধবপুরের আরও তিনটি গণমিলনায়তন কেন্দ্র। এগুলোর অধিকাংশই এখন প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে।
 
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের পর এ কেন্দ্রগুলোতে নারীদের বুনন, সেলাই, হস্তশিল্প, বাঁশ-বেতের কাজসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তবে কয়েক বছর পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভবনগুলোতে তদারকি করতে দেখা যায়নি।
 
সম্প্রতি বদলি হওয়া হবিগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, তিনটি উপজেলার ২১টি গণমিলনায়তন কেন্দ্র দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় এগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের তরুণ-তরুণীদের এগুলোতে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করলেও অর্থ বরাদ্দের অভাবে তা করা যাচ্ছে না।
 
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল তালুকদার বলেন, সরকার দেশজুড়ে তরুণ সমাজকে স্বাবলম্বী করতে নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোকে ব্যবহার করে গ্রামীণ পর্যায়ের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। এটি করলে সরকারের সম্পত্তি বেদখল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে।