চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় এক যুবতী।
রোববার দুপুর ২ টার দিকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। শ্রীমতি সাথী সরকার ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুরের পরিতোষ সরকারের মেয়ে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম। তিনি জানান, গত দুই বছর আগে অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে সাথীর সাথে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমার গাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিমের ছেলে ওমর আলীর সাথে। পরে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রেমের টানে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়িতে যান সাথী। পরদিন কুষ্টিয়া আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করে নাম রাখেন সাথী খাতুন। সেখানে দুইজন বিয়েও করেন। পরে চলতি বছরের গত ২১ মার্চ রাতে সাথীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। পরদিন সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তখন বয়স কম হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়ার সামাজিক ও প্রতিবন্ধী ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। সেখানে ১১ মাস রাখা হয় তাকে। আজ তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনসোলার দেবব্রতি চক্রবর্তী, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন, ভারতের পক্ষে বিএসএফ এর গেদে কোম্পানি কমান্ডার এস এ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তেওয়ারি, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষসহ সংশ্লিষ্টরা।