Can't found in the image content. মধুপুরে ডাকাতির অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে, বিচার পাচ্ছেনা স্বামী ! | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মধুপুরে ডাকাতির অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে, বিচার পাচ্ছেনা স্বামী !

হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

মধুপুরে ডাকাতির অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে, বিচার পাচ্ছেনা স্বামী !
টাঙ্গাইলের মধুপুরে হত্যার হুমকী দিয়ে স্ত্রীর পূর্ব পরিকল্পনায় ডাকাতির অভিযোগ তুলেছেন এক স্বামী। এ ঘটনায় স্ত্রী ঈতিশা পারভিন ইমু (২৯) তাঁর সহযোগী জুয়েল রানা, রতন মিয়া ও রেজাউল করিমে বিরুদ্ধে গত শনিবার (২৮ আগষ্ট) মধুপুর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইমুর স্বামী মো. হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামের মৃত হাছেন আলী জোয়াদারের ছেলে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পরও এঘটনায় এখনো বিচার পাইনি ভূক্তভোগী স্বামী হাবিবুর রহমান।

অভিযোগ ও ভূক্তভোগী পরিবার থেকে জানান যায়, ২০১১ সালে ময়মনসিংহের মুক্তগাছা উপজেলার নিমুরিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে ইমুকে বিয়ে করেন হাবিবুর। দাম্পত্য জীবনের দুইটি সন্তান হলেও তালবাহানা শুরু করে ইমু। ইমুর বোননে বিয়ে কথা বলে শ্বশুড় দুই লাখ টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে ইমু ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বাবার বাড়ির জুয়েল রানা, রতন মিয়া ও রেজাউল করিমকে ডেকে আনে। বাড়ির লোকজনকে হত্যার হুমকী দিয়ে ঘরে থাকা নগদ ১২ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে সিএনজিযোগে তাঁরা চলে  যায়। 

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী স্বামী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বাড়িতে না থাকার সুবাধে স্ত্রী ইমু ও তাঁর পরিবারের লোকজন এসে আমার ঘরে ডাকাতি করে। বৃদ্ধা মা ও অন্যদের হত্যার হুমকি দেয় তাঁরা। শুধু এই ঘটনায় নয় এর আগেও আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার শশুর আমার কাছ থেকে গাড়ী কিনার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলো। সেই টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করে পরে আমার স্ত্রী তার বাবার কথায় আমার সন্তান কে নিয়ে সে চলে যায়। পরে আমি এই টাকা আপোষে চাইলে সে টাকা না দেওয়ায় টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। পরে তারা গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কে নিয়ে বসে কয়েক ধাপে টাকা দেওয়ার শর্তে মীমাংসা হয়। পরে সেই কথায় মামলা তুলে নেই। কয়েক ধাপে কিছু টাকা দিলেও এখনো প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা পাই। তার পরেও বর্তমানে সে তার ছোট মেয়ের বিয়ের কথা বলে তার মেয়ে আমার স্ত্রী কে দিয়ে ২ লাখ টাকা ধার ধার নেয় । টাকা ফেরত চাইলে সে আমার স্ত্রী কে কু বুদ্ধি দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে ডাকাতি করে।  শুধু তাই নয় আমার শশুর আমার শাশুড়ী কে রেখে তার অমতে  আরো দুই টি বিবাহ করেছিলো। সে নারী লোভী ও লম্পট দু:চরিত্র। বর্তমানে এখন আমার সন্তান অসহায় হয়ে পড়েছে।  আমি গত শনিবার (২৮ আগষ্ট) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি । অভিযোগ করার পরে আমার শশুর বাড়ীর এলাকার একজন টাঙ্গাইলে এডিসি পদে কর্মরত আছেন সে আমাদের মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইএনও) স্যার কে এটি মীমাংসা করার জন্য বলেছিলো । ইএনও স্যার আমাদের দু পক্ষকেই তার কার্যালয়ে ডেকেছিলে।  পরে তিনি দুই পক্ষের কথা শুনে সে আইনের আশ্রয়েই যেতে বলেছে সে মীমাংসা করতে পারেনি। তবে থানায় অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। আমি থানায় অভিযোগ করার পর থেকে আসামী পক্ষ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি দ্রুত এ ঘটনায় বিচার দাবী করছি। এজন্য মাননীয় পুলিশ সুপার, স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় কৃষিমনস্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা খাঁন বাবলু জানান, ‘আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের সব এলোমেলো। দিনে দুপুরে এটা ডাকাতি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’  

মধুপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে স্বামী হাবিবুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন তদন্ত শেষে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’