টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের এক কৃষাণীর আমন ধানের রোপনকৃত চারা বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমিতে অনুপ্রবেশ করে তাঁরা ওই জমিতে পুনঃরায় ধানের চারা রোপন করেছেন। ভূক্তভোগী অসহায় কৃষাণী পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে রুবিনা সুলতানা।
অভিযুক্ত প্রতিবেশিরা হলেন মফিজুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মমতাজ বেগম, কহিনুর বেগম ও ঋতু খাতুন।
সরেজমিনে শনিবার গিয়ে দেখা গেছে, পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের কদমতলী মৌজার স্বত্তদখলিয় বিএস খতিয়ান ১৬৪ এর ১৪৭ দাগের ১৭.২৫ শতাংশ জমিটি রুবিনা সুলতানার। তিনি ধানের চারা রোপন করলে ক’দিন আগেই ওই জমিতে অনুপ্রবেশ করে মফিজুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মমতাজ বেগম, কহিনুর বেগম ও ঋতু খাতুন। ওই জমিটিতে তাঁরা আবার ধানে চারা লাগিয়েছেন। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়া স্থানীয়রা মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছে না তাদের ভয়ে।
আদালতে দায়ের মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ওই জমিটির প্রকৃত মালিক রুবিনা সুলতান। জমিতে প্রতিপক্ষ বেদখলে দিতে আসলে টাঙ্গাইলের আদালতে মোকদ্দম নং ৭৬১/২০২২ দায়ের করেন রুবিনা সুলতান। আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতে আইন অমান্য করে জমিতে অনুপ্রবেশ করে ধানের চার রোপন করেন তাঁরা।
ভূক্তভোগী অসহায় কৃষাণী রুবিনা সুলতানা বলেন, ‘জমিটি তাঁরা দখল করতে আসাল আদালতে সকল কাগজপত্র দাখিল করি। আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। জমি বেআইনিভাবে বেদখ দিয়ে চারা রোপন করেছে। পরিবারের সবাইকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। আমরা ভয়ে আছি।’
জমি বেদখলে বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা বলেন, ‘জমিটি আমাদের। আমরা চারা রোপন করেছি।’
স্থানীয় কাউন্সিলর মীর আব্দুর রাজ্জাক মেহফুজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই প্রতিকার চেয়ে পৌর সভায় আবেদন করেছে। শিগগিরই তাদের ডেকে বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।’
ধনবাড়ী থানার উপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘আদালতের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারার নোটিশ জরি করলে বাদি পক্ষ জানালে ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।’
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’