দিনাজপুরের হিলিতে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে খালাসের ৩ দিন পর খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা দাম কমেছে। গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে হিলি কাস্টমসে চালের বিলঅবএন্ট্রি সাবমিটের পর পরিক্ষণ শুল্কায়ন শেষে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে ৫০ টাকা, ২৮ জাতের চাল ২ টাকা কমে ৫৬ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৪ টাকা কমে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে চাল কিতে আসা আব্দুর রহমান জানান, স্বর্ণা-৫ জাতের চলের দাম আগে ছিল ৫২ টাকা আজ ৪৮ টাকা দরে ১০ কেজি চাল কিনলাম।
এদিকে হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক কম এবং ওএমএসের চাল বিক্রির ফলে হিলি বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। প্রকার ভেদে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা দাম কমেছে। ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ৬২.৫ ভাগ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২৫ ভাগ করে চাল আমদানির অনুমোদন দিলে ২৩ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু ডলারের মুল্য বৃদ্ধি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের দাম বৃদ্ধি করায় চাল আমদানিতে লোকশান গুনতে হচ্ছিল। তাই শুল্ক কমার আশায় চাল খালাস না করে ২৫/৩০ দিন ধরে বন্দরে চাল বোঝায় ট্রাক ফেলে রাখা হয়েছিল। এতে করে বন্দরে ৩০৬টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে ১২ হাাজার টন চাল আটকা পড়ে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়। এরপর গত রবিবার (২৮ আগস্ট) রাতে চালের শুল্ক আরোও একধাপ কমিয়ে ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষনা দেন সরকার। এরপরদিন সোমবার (২৯ আগস্ট) কাগপত্র জটিলতার কারণে বন্দর থেকে চাল খালাস সম্ভব না হলেও পরদিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ শে আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ১৩০ টি ভারতীয় ট্রাক থেকে ৫ হাজার ৩শ মেট্রিকটন চাল ছাড়করণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩৯ টি ট্রাকে আনুমানিক সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন চল খালাসের অপেক্ষায় আছে।
এ দিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, আমরা চাল আমদনি আব্যহত রেখেছি। আরোও পর্যাপ্ত চল আমদানি হবে। আশা করছি আরও দাম কমবে।