ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

মেয়েদের জমির ভাগ দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে জঙ্গলে ফেলে গেলেন ছেলে

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

মেয়েদের জমির ভাগ দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে জঙ্গলে ফেলে গেলেন ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়েদের জমি বিক্রির টাকা দেওয়ায় অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে জঙ্গলে ফেলে যান ছেলে। পরে স্থানীয় ও জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিমের সহায়তায় ওই বৃদ্ধার আশ্রয় হয় তার ছোট মেয়ের বাড়িতে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর এলাকার বালিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার ওই বৃদ্ধা জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর নাককাটিতলা গ্রামের মৃত সইবুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেওয়া (৮২)। বৃদ্ধার তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বৃদ্ধ নারীকে কে বা কারা ফেলে পালিয়ে যান। এ খবর শুনে এলাকাবাসী এবং কৃষক লীগ নেতা আব্দুল হাকিম বৃদ্ধার কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। তার ছেলে কীভাবে তাকে জঙ্গলের পাশে ফেলে গেছেন তা শুনেন। পরে তাকে উদ্ধার করে তার ছোট মেয়ের বাড়িতে পাঠান।

আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধার চারকাঠা জমি ছিলো। তার মধ্যে দুইকাঠা জমি বিক্রি করে তিন মেয়ের জন্য ব্যয় করেন। আর দুই ছেলেকে এক কাঠা করে জমি লিখে দিয়েছেন। এ নিয়েই ছেলে ও ছেলের স্ত্রীরা বৃদ্ধা শাশুড়িকে দেখভাল করতেন না। একমাস বড় ছেলের কাছে আর একমাস ছোট ছেলের কাছে থাকতেন তিনি।

এ ঘটনার আগ পর্যন্ত ছোট ছেলে মনিরুল ইসলামের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গায় থাকেতন বৃদ্ধা মর্জিনা। শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার বালিগ্রামে ছোট বোনের বাড়ির সামনে মনিরুল তার মাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কৃষক লীগ নেতা আব্দুল হাকিমের হস্তক্ষেপে একই মহল্লায় বসবাসরত ছোট মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় হয় বৃদ্ধা মায়ের। সেই সঙ্গে ওই বৃদ্ধার সব চিকিৎসা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন আব্দুল হাকিম। একইসঙ্গে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে যারা অমানবিক আচরণ করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।

মর্জিনা বেওয়ার ছোট মেয়ে নাসিমা বেগম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে আমার ভাই মুনিরুলের স্ত্রী অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের সেবা-যত্ন করতেন না। তাই পরিবারে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর জ্বালা-যন্ত্রণা সইতে না পেরে মাকে জঙ্গলে ফেলে গেছে ভাই।

শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।