গাজীপুরে রিনা খাতুন (৩৭) নামের এক নারীর মরদেহ শনিবার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী লালচাঁন মোল্লার (৪০) সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশের ধারণা রিনা খাতুনকে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়েছেন। পরে লালচাঁনকে ধরতে অভিযানে নামে সিআইডি পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা দূর্ঘাসাগর সংলগ্ন একটি মসজিদ থেকে লালচাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর লালচাঁন পালিয়ে মাধবপাশা দুর্গা সাগর এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে লালচাঁন ওই মসজিদের ইমামের কাছ থেকে তাবিজ নিতে যান। এ সময় সিআইডি পুলিশের হাতে লালচাঁন ধরা পড়েন।
গ্রেপ্তার লালচাঁন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মৃত হাসান মোল্লার ছেলে এবং রিনা ওই উপজেলার আন্দারকোঠা পাড়ার গেদু শেখের মেয়ে।
সিআইডির বরিশাল জেলা ও মেট্রো শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, রিনাকে নিয়ে গাজীপুর নগরীর কোণাবাড়ীর বাইমাইল এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন লালচাঁন। শনিবার বিকেলে তালাবদ্ধ রুম থেকে রিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার আগ থেকেই আত্মগোপনে চলে যান লালচাঁন। সিআইডির এলআইসি শাখা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে লালচাঁনকে গ্রেপ্তারের জন্য সিআইডির বরিশাল মেট্রো ও জেলা শাখাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে পরিদর্শক নুরুল আলম তালুকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লালচাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার লালচাঁনের বরাতে অভিযানিক দলের সদস্যরা জানান, শনিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী রিনাকে সজোরে লাথি মেরে
বাইরে চলে যান লালচাঁন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ঘরে ফিরে দেখেন তার স্ত্রীর মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছে ও মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক রুম তালা
মেরে পালিয়ে যান লালচাঁন।
সিআইডির অভিযানিক দলের সদস্য আকিদুর রহমান জানান, লালচাঁন এক সময় মাধবপাশায় বাদশা সর্দারের গরুর ফার্মে চাকরি করতেন। শনিবার রাতে ফার্মের পাশের একটি ঘরে আসেন লালচাঁন। রাতে ওই ঘরেই ছিলেন লালচাঁন। রোববার দিনভর এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করেন। সন্ধ্যায় ওই মসজিদে নামাজ শেষে ইমামের কাছে গিয়ে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার জন্য তাবিজ চান। এসময় সেখানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।