ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

জঙ্গি মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল- র‍্যাব মহাপরিচালক

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২

জঙ্গি মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল- র‍্যাব মহাপরিচালক
অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে ‘নবদিগন্তের পথে’ প্রকল্পের পর নতুন আরো একটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ‘নবজাগরণ’ নামের এই প্রকল্পটি মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া-বেকার ও স্বল্প উপার্জনকারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার কাজ করবে। এর ফলে অপরাধ করার ঝুঁকিতে থাকা লোকরা সুন্দর জীবন গঠন করতে পারবে। অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সাম্প্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার স্লোগান হলো- ‘নবজাগরণ-অপরাধকে না বলুন’।

সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া ব্যক্তি, বেকার ও স্বল্প উপার্জনকারী এবং অপরাধপ্রবন লোকদের চিহ্নিত করে তাদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াস নিয়ে ‘নবজাগরণ-অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক ৩ সপ্তাহব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- পর্যটন নির্ভর পেশা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সার্ভিস বয়, ট্যুরিস্ট গাইড, ফটোগ্রাফার, সার্ফিং ও ড্রাইভিং। এছাড়া নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে।

প্রাথমিকভাবে ৩৫ জন নারী-পুরুষকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে বলে আশা করছে র‌্যাব।

সোমবার এই কক্সবাজারে কর্মশালাটিরর উদ্বোধন করা হবে। সকাল ১০টায় কক্সবাজারে র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের পাশে অবস্থিত বসুন্ধরা এমিউজমেন্ট পার্কে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো- অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে অপরাধে জড়াতে নিরুৎসাহিত করা। আর এটা করতে পারলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে। সামাজিক, পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক অন্তরায় সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে প্রধান্য দেওয়া হবে নবজাগরণের মাধ্যমে। যাতে সমাজের আবালবৃদ্ধবনিতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অপরাধ না করার ব্যাপারে সচেতন থাকে।

অপরাধ পর্যালোচনা ও গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে র‌্যাব নানা সময়ে নানা কর্মপন্থা নির্ধারণ করে। এরই অংশ হিসাবে চালু হচ্ছে ‘নবজাগরণ’। এটি হলো র‌্যাবের আর্লি ইন্টারভেনশন। এর আগে ‘নবদিগন্তের পথে’ র‌্যাব যেসব কাজ করেছে, সেগুলো ছিল পোস্ট ইন্টারভেনশন। যাদের পোস্ট ইন্টারভেনশন কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়, তারা আগে থেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল। আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে, কিছুটা ক্ষমা করে পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের সমাজের মূল ধারায় আনা হয়। এবার আর্লি ইন্টারভেনশনে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা এখনো অপরাধে জড়ায়নি। তবে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে।

জানা যায় পোস্ট ইন্টারভেনশন কার্যক্রমের আওতায় ইতোমধ্যে ৪২১ জন অপরাধীকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে ‘নবদিগন্তের পথে’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৬ জন জঙ্গি এবং সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪০৫ জন জলদস্যুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়।