নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় দাফনের নয় মাস চারদিন পর মনি আক্তার (২১) নামে এক নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট ) বিকেলে উপজেলার আমতলা গ্রামের সার্বজনীন কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ( ইউএনও) মো. আবুল হাসেম , কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত কুমার সাহা,ওই মামলা তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।
নিহত মনি আক্তার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
তিনি ঢাকার শ্যামলী এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকার সোবহানবাগের সরকারি ষ্টাফ কোয়ার্টার (টিনশেড) লুৎফর রহমানের কোয়ার্টারে সাবলেট হিসেবে একই গ্রামের রুবিনা খাতুনের রুমে থাকতেন।
অভিযুক্ত রুবিনা খাতুন একই উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মো.আব্দুল মমিনের মেয়ে।
কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালতের নির্দেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন শেরে বাংলানগর থানায় এই হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ও-ই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয় । উত্তোলনের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে নিহতের মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে ঢাকার বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালতে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি পিটিশন করেন। আদালতের বিচারক আমলে নেন ও পিটিশনটিকে মামলা হিসেবে নথি করার ও শেরে বাংলানগর থানা পুলিশকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন শেরে বাংলানগর থানার ওই মামলার তদন্তকারী উপ -পরিদর্শক এসআই মোঃ শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,ঢাকার সিএমএম আদালতের নির্দেশে দাফরলনের নয় মাস চারদিন পর মনি আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক ডিএনএ টেষ্টের প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃতরহস্য জানা যাবে।এ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে রুবিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।