টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে দফায়-দফায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ করে ওই রাতে বাড়ি থেকে প্রেমিক লাপত্তা হলে অনশনে বসেছে প্রেমিকা। উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের এক গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত প্রেমিক মেহেদী হাসান জিহাদ (১৭)। ওই ইউনিয়নের বীরতারা গ্রামের হবিবর রহমান হবির ছেলে ও স্থানীয় পলিশারপাড় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। জিহাদ তার নানার বাড়ি পলিশার পাড়ে থেকে পড়ালেখা করে এবং ওই বাড়িতেই ডেকে নিয়ে যায়।
ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর খানেক আগে কদমতলী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে দুজনের প্রেম হয়। এরপর থেকেই জিহাদ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। বিয়ের কথা বললে তালবাহানা শুরু করে। গত বুধবার রাতে বিয়ের কথা বলে ওর নানার বাড়িতে এনে আবারো দফায়-দফায় ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি। যদি বিয়ে না করে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন আমার উপায় নেই। আমি বাড়িতেও ফিরে যাব না।
জিহাদের নানা আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘জিহাদ আমার বাড়িতে থেকে পড়ে। ওর মা-বাবা ঢাকায় চাকুরি করে। মেয়েটি দুই দিন আগে থেকে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। কিন্তু ওই রাতের পর থেকে মেয়েটি বাড়িতে রেখে জিহাদ পালিছে গেছে। স্থানীয় মাতাব্বরদের মাধ্যমে সালিশের চেষ্টা হচ্ছে।’
স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘মেয়েকে ওই রাত থেকে বাড়িতে পাচ্ছিলাম না। পরে লোকের মাধ্যমে জানতে পারি জিহাদ বিয়ের কথা কথা বলে ওর নানার বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমার মেয়েটি জীবন ধ্বংস করে দিলো। আমি এর সমাধান চাই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আল ফরিদ মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।’
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’