টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামে নয়নদী শাখা খালের উপর বেইলি ব্রিজ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার(২৩ আগস্ট) সকালে মালবাহী একটি ট্রাক পারাপাড়ের সময় পাটাতন ভেঙে দেবে যায়। ফলে ওই আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাতায়াতকারী ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানাগেছে, ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী নদীর উপর শামসুল হক সেতু চালু হওয়ার পর টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে যায়। টাঙ্গাইল থেকে আরিচা ও পাটুরিয়াঘাট যেতে ফেরি পারাপাড়ের বিড়ম্বনার দিন শেষ হয়।
ঢাকার নবীনগর, ধামরাই, মানিকগঞ্জ হয়ে দীর্ঘপথ যাত্রার সমাপ্তি ঘটে। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকা, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ সহজতর হয়।
এছাড়াও পদ্মার ওপারের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ কয়েকটি জেলায় চলাচলের পথও অনেকটা সুগম হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত-শত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও হালকা যানবাহনগুলো টাঙ্গাইল-আরিচা-পাটুরিয়া এলাকায় চলাচল করে থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ৮-৯টি বেইলি ব্রিজের অবস্থা নাজুক হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে থাকে। বেইলি ব্রিজগুলোর অধিকাংশের স্টিলের পাটাতন ক্ষয়ে গেছে।
মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ভারি যানবাহন উঠলে পুরো ব্রিজ কেঁপে ওঠে। ব্রিজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধ হলেও চালক-হেলপাররা তা না মেনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন।
ইতোপূর্বে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে নাগরপুরের টেংরিপাড়া বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে অন্তত তিনবার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য জোড়াতালি দিলেও তা মাঝে মাঝেই ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলি ব্রিজগুলো ভেঙে পড়লে কর্তৃপক্ষ কয়েক বার নামমাত্র মেরামত করা হলেও ব্রিজের অবস্থা একেবারে নাজুক হওয়ায় প্রতিনিয়ত ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রযেছে। এ সড়কের বিকল্প না পেয়ে এলাকার অসংখ্য মানুষ এ পথেই চলাচল করতে বাধ্য হন।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। চলাচলের উপযোগী করার জন্য তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী(নাগরপুর অঞ্চল) সজল কুমার সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে তাদের লোকজন ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।