ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

সনদপত্র জালিয়াতি করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ধর্মপাশা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২

সনদপত্র জালিয়াতি করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে একটি নামজারী আবেদনের সঙ্গে  জাল উত্তারিধকারী সনদপত্র দাখিল করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো.আব্দুল মোনায়েম খান বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার গভীর রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানিয়াচর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্টার কার্যালয়ের ডিড রাইটার মো.দেলোয়ার হোসেন (৪৫) কে সোমবার দুপুরে আটক করে উপজেলা প্রশাসন।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ,এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর  ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের মো.দেলোয়ার হোসেন (৪৫) পেশায়  একজন ডিড রাইটার। তাঁর সহযোগী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো.আবদুল ছমেদ (৫০) ও একই গ্রামের মো. শাহানূর (৪৫)। তিনজনই পরস্পর আত্বীয়। তাঁরা তিনজন মিলে একটি পরিবারের  তিন ভাই ও তিন বোনের নামে থাকা একটি উত্তারাধিকারী  সনদপত্র জালিয়াতি করে তিন বোনের নাম বাদ দিয়ে তিন ভাইকে রেখে এতে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর স্ক্যান করে একটি জাল উত্তরাধিকারী সনদপত্র তৈরি করেন। ভূমি নামজারি করার জন্য এই  জাল সনদপত্রটি অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে  উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।  সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউএনওর কার্যালয়ে  এই নামজারির শুনানি শুরু হয়। উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান এই শুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ সময় উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ,  একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.শাহীনূর  ও নামজারির তদবীর কাজে নিয়োজিত থাকা দলিল লিখক দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শুনানির এক পর্যায়ে ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকাকে এই উত্তরাধিকারী সনদপত্রটি দেখালে তিনি এটি ছয়জনের নামে এই উত্তারাধিকারী সনদপত্র টি দিয়েছিলেন বলে ইউএনওকে অবগত করেন। এ নিয়ে সন্দেহ হলে নামজারির কাজে নিয়োজিত থাকা  ডিড রাইটার দেলোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি  বিষয়টি ইউএনওর কাছে প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে তিনি ইউএনওর কাছে এই জালিয়াতি করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এই অপরাধমূলক কাজে তাঁর সঙ্গে আবদুল ছমেদ ও মো.শাহানূর জড়িত রয়েছেন বলে জানান। এ অবস্থায় তাঁকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। 

ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান বলেন, জাল উত্তারাধিকারী সনদপত্র তৈরি করে প্রতারণা করার ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা করার জন্য আমি উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ারকে নির্দেশ দিয়েছি।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জাল উত্তরাধিকারী সনদপত্র তৈরি করে প্রতারণা করার ঘটনায় থানায়  একটি মামলা হয়েছে।  আসামি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য দুজন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।