Can't found in the image content. মাঝরাতে মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন মাহি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মাঝরাতে মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন মাহি

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২১, ২০২২

মাঝরাতে মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন মাহি
গত মাসেই মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ও বহুল আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’। সিনেমার একটি দৃশ্যে একটি পাখিকে খাঁচায় বন্দি ও হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোয় পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সম্প্রতি। আর মামলার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমা সংশ্লিষ্টসহ অনেকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এবার মামলার ধারা পরিবর্তন প্রয়োজন বলে জানালেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

শনিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুক লাইভে আসেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। এ সময় তিনি বলেন, আমি এক আন্টির বাসায় বেড়াতে আসছি। এই বাসায় একটি ময়না পাখি আছে। সে এখনো কথা বলা শিখেনি, খুব ছোট। এটাকে একটা আংকেল বাসায় নিয়ে এসেছে, আন্টিকে দিয়েছে।”

মাহি বলেন, “তাহলে কি এই আন্টির নামে ২০ কোটি টাকার মামলা হবে? কী করা উচিত? কেননা, এই আন্টি যে ময়না পাখিটি পুষে।”

অভিনেত্রীর বাসায় যদিও কোনো পাখি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঢাকা শহরে ও গ্রাম-গঞ্জে এমন কোটি কোটি বাসা আছে, যেখানে এমন ময়না পাখি পুষে, বিভিন্ন পশু-পাখি পোষা হয়।”

তিনি বলেন, “যদি সবার নামে মামলা না হয় তাহলে শুধু কেন ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো। এটা কেন করা হয়েছে, এই আইনে কি আছে আমি জানি না। যদি এই আইনে এরকম কিছু থেকে থাকে তাহলে প্লিজ, আমি অনুরোধ করছি, এই আইনটা একটু চেঞ্জ করা উচিত। কারণ আমার এমন অনেক সিনেমা আছে যেখানে আমরা পাখি খাঁচায় দেখিয়েছি। তাহলে কি সেই সিনেমার বিরুদ্ধেও মামলা হবে? এটা টেনশনের বিষয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, সিনেমায় একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন চান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও এক পর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ও দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)। এর পরদিন প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

এরপর গত ১৭ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।