প্রচণ্ড দাবদাহে রাজিবপুরে হাত পাখার কদর বেড়েছে। অধিকাংশ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ গরমে তাড়নায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। প্রচণ্ড গরমে মাঝে মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিদ্যুতের আশা যাওয়ার লুকোচুরি। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে।
প্রচণ্ড গরমে প্রশান্তি পরশ দিতে রাজিবপুর উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে বিক্রি করছে বাহারি রকমের হাত পাখা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাঁশ দিয়ে তৈরি পাখা, সুতায় বুনানো পাখা, বিভিন্ন কাপড়ের তৈরি হাত পাখা। তাছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি পাখাও বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়িতের গৃহবধূরা পাখা তৈরি করে থাকে। পাখা তৈরি কারক গৃহবধূ জানায়, বইস্যা থাকার চায়া একটো বেছন (পাখা) বানাইয়া দিলে আমরা কিছু টাকা মজুরী পাই।
হাত পাখা বিক্রেতা জোয়ানের চর গ্রামের আবু সাঈদ (৪৫) সাথে কথা বলে জানা যায়, বাপ-দাদার ব্যবসা ধরে রেখে বিভিন্ন হাট-বাজারে হাত পাখা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন অনেকেই। এদিকে বসে নেই হাত পাখা কারিগররাও। গরম শুরুর প্রথম থেকেই বেড়েছে হাত পাখা কারিগরদের ব্যস্ততা।
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও ২৪ ঘন্টায় থাকে ৪ ঘন্টা। প্রচণ্ড গরমে পাখার চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ। বিশেষ করে বাস যাত্রী, হাটবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ও দরিদ্র শ্রেণীর মধ্যে এই পাখা ক্রয়ের চাহিদা বেশি।
প্রতিটি হাতপাখা ৫০/১০০ টাকা বিক্রি হয় বলে পাখা বিক্রেতা জামাল হোসেন জানান। সে আরও জানায়, পাখা আগের মতো বিক্রি না হলেও তীব্র গরমে ভালোই বেচাকেনা চলছে। পাখা বিক্রি করে সংসার চলে আমাদের মতো অসহায় গরীবদের।