ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ঢাকায় ঝগড়ার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, বৃদ্ধা নিহত, আহত ১০

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১

ঢাকায় ঝগড়ার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, বৃদ্ধা নিহত, আহত ১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের ধাক্কায় আয়েশা বেগম (৮০) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরাইলের পানিশ্বর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত আয়েশা বেগমের নাতি শ্যামল মিয়া জানান, সরাইলের পানিশ্বর গ্রামের হুজুর বাড়ির দক্ষিণ পাড়ার সাদ্দাম ও শফিকের সঙ্গে উত্তর পাড়ার ইউনুছ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া ঢাকার একটি জুতার কারখানায় কাজ করতেন। গত এক মাস আগে কারখানায় তুচ্ছ ঘটনায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তাদের গ্রামের বাড়িতে জানাজানি হলে উভয়পক্ষের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আসামিরা হাজিরা দিতে আসেন। হাজিরা শেষে বাড়িতে ফেরার পর দক্ষিণ পাড়ার ইউনুছের সঙ্গে উত্তর পাড়ার শফিকের প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এ সময় তাদের ঝগড়া থামাতে যায় সাদ্দাম মিয়ার পক্ষের বৃদ্ধা আয়েশা বেগম। প্রতিপক্ষ ইউনুছ মিয়ার লোকজন ধাক্কা দিলে আয়েশা বেগম মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফয়েজুর রহমান ফয়েজ জানান, ওই বৃদ্ধাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।

পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীন ইসলাম বলেন, ‘বৃদ্ধা আয়েশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দুইপক্ষ আজ বিকালে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’