লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পৌর শহরের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
১৪ আগস্ট (রবিবার) সকাল ১০টা নাগাদ ওই অধ্যক্ষককে তার কক্ষ থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। একই দিন দুপুরের দিকে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন। পরে শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে রবিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনকে আটক করেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিনকে সোপর্দ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, অভিভাবকদের হাতে আটক অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে, গ্রেফতারের প্রাক্কালে অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ষড়যন্তের শিকার। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।
এদিকে, মিথ্যা অভিযোগে তার স্বামীকে শারীরিক নির্যাতন ও সম্মানহানি করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার বিচার দাবি করেছেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অধ্যক্ষ নিজাম মার্জিত চরিত্রের অধিকারী ও মিষ্টভাষী ব্যক্তি। অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্র জানায়, আমাদের স্যারকে ফাঁসানো হয়েছে, আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
অন্যদিকে সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০১০ সালে শহরের মীরগঞ্জ সড়কের পাশে ওই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে প্লে থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। নিজাম উদ্দিন ওই প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি রায়পুর সরকারি হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব। এছাড়া, তিনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির দায়িত্বেও ছিলেন।